সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।। সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেছেন কমিশনের কর্মকর্তারা। এ সময় বেশ কিছু বিষয়ে অসামঞ্জস্যতা পেয়েছেন বলেও তার জানিয়েছেন।
আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুদকের পাবনা অঞ্চলের কর্মকর্তারা এ অভিযান চালান।
গত ৪ সেপ্টেম্বর একটি গণমাধ্যমে ‘এক হায়েসের পেছনেই বছরে ব্যয় ৬২ লাখ, দেড় লাখ হয়েছে মাউশি ডিজির একদিনের আপ্যায়ন বিল’ শিরোনামে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কলেজের একমাত্র হায়েস গাড়ি রক্ষানাবেক্ষণ, গারিচালকের বেতন এবং তেল খরচ বাবদ এক বছরে প্রায় ৬২ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয়; মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালকের আগমন এবং খাবার বাবদ দেড় লাখ টাকা বিল করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম। কলেজের তহবিল থেকে এমন অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের খবর কলেজ জুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) তদন্ত শুরু করেছে। এ খবর প্রকাশের পরই অভিযান চালালেন দুদকের কর্মকর্তারা।
অভিযানে থাকা এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, পরিবহন, বিবিধ, উন্নয়ন, আপ্যায়ন খাতে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে এবং আয়ের খাতগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভাউচারও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সার্কুলারে বেসরকারি খাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে টাকা আদায় করা হয়েছে, সেখানেও অসামঞ্জস্যতা পাওয়া গেছে। এসব পর্যালোচনা শেষে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এর মাধ্যমে গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এখানকার হায়েস গাড়িটি ছাত্ররা ব্যবহার করেনি। অধ্যক্ষসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এটি ব্যবহার করেছেন। মাইলেজের তথ্য রেজিস্ট্রারে উল্লেখ নেই। তারা ২০২৪ ও ২৫ সালের সার্কুলারের আলোকে তারা টাকা ক্রসচেকের মাধ্যমে ব্যয় করা হয়নি। সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করবেন তারা।