ঢাকা | সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ - ৫:৪৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

সাভারে শিক্ষকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

  • আপডেট: Sunday, August 20, 2023 - 3:59 pm

এইচ এম সাগর, সাভার থেকে: সাভারে নিজ বাড়িতে সাবেক এক শিক্ষকের হাত-পা বাঁধা মরদেহের উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২০ আগস্ট) বিকেলে সাভার পৌর এলাকার ভাটপাড়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

নিহত ব্যাক্তির নাম গোলাম কিবরিয়া (৪৩) বলে জানাজায়। তিনি সাভার পৌরসভার ভাটপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি সাভার রেডিও কলোনী মডেল স্কুলের সাবেক শিক্ষক। বর্তমানে নিজ বাসায় শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতেন।

চিরকুটের লেখাটি প্রকাশের অযোগ্য। তবে সেটির একটি চিত্র আমাদের কাছে রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা জায়, রাতে নিজ ঘরে বাড্ডা ভাটপাড়া এলাকায় স্থানীয় একটি স্কুলের সাবেক শিক্ষক গোলাম কিবরিয়ার (৩৩) লাশ গলায় গামছা পেছানো ও পা বাধা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিকারণে এ হত্যাকান্ড তদন্ত করছে পুলিশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহতের এক বন্ধু বলেন, নিহত গোলাম কিবরিয়া আমার বন্ধু। সে আগে স্কুলে শিক্ষকতা করতো। বর্তমানে বাসায় শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ায় সে। চার ভাইয়ের মধ্যে কিবরিয়া মেজো। কিবরিয়ার বাবা-মা অনেক আগেই মারা গেছে। তার স্ত্রী অনেক আগেই তাকে ছেড়ে চলে গেছে।

তিনি আরও বলেন, রোববার দুপুরে তাকে হাত-পা বেঁধে ঘরের ভিতর কে বা কারা মেরে ফেলে গেছে এটা শুনে আমি এসেছি। তবে কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটা জানি না। শুনেছি কিবরিয়ার লাশের পাশে একটা চিরকুট রেখে গেছে খুনিরা। সে সমকামিতা করে এই অপরাধে তাকে মারা হয়েছে। সেটা না কি খুনিরা ওই চিরকুটে লিখে গেছে।

নিহতের ছোট ভাই আপেল মাহমুদ বলেন, ভাটপাড়ার ওই বাড়ি আমাদের পৈতৃক নিবাস। বড় ভাই কিবরিয়া ও আমার অন্য দুই ভাইয়ের পরিবার আলাদা রুমে ওই বাড়িতেই বসবাস করে। রোববার ভাই কিবরিয়ার মৃত্যুর খবর জানতে পারি। এসে দেখি তার কক্ষের ভিতরে লুটপাট করেছে খুনিরা। আলমারি ভেঙে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে। তবে কি পরিমাণ তা আমি জানি না। হত্যাকাণ্ডের কারণ পুলিশ অনুসন্ধান করছে।

এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তবে তদন্ত ও পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।