সাবেক বিচারপতি মেজবাউদ্দিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জাগো জনতা অনলাইন।। পুরোনো ও ত্রুটিপূর্ণ মিসরীয় বিমান ভাড়ায় এনে সরকারের ৭৪১ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আমলে নিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে পলাতক সাবেক বিচারপতি এ এফ এম মেজবাউদ্দিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এবং অপর ১৮ আসামিকে অব্যাহতি দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিরা হলেন- বিমানের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক পরিচালক ফজলে কবির, সাবেক পরিচালক খোরশেদ আলম চৌধুরী, সাবেক পরিচালক এয়ার ভাইস মার্শাল আবু এসরার, সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইকবাল আহমেদ।
জামিনে থাকা আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বিমানের সাবেক পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন্স) ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ, সাবেক ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল আলম সিদ্দিক, প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ হানিফসহ আরও কয়েকজন প্রকৌশলী কর্মকর্তা।
অব্যাহতি দেওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল কাদির, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সফিউল আজম, দেওয়ান রাশেদ উদ্দিন ও সাবেক ইন্সপেক্টর অব এয়ারক্রাফট গোলাম সারওয়ার।
দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম সাংবাদমাধ্যমকে বলেন, ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপপরিচালক জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে উপপরিচালক আনোয়ারুল হক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর মডেলের দুটি উড়োজাহাজ পাঁচ বছরের জন্য লিজ নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এক বছরের মাথায় একটি বিমানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। এরপর ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন, কিন্তু সেটিও দেড় বছরের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়।
এতে আরও বলা হয়, বারবার ইঞ্জিন বিকল ও বিদেশে পাঠিয়ে মেরামতের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ে রাষ্ট্রের ৭৪১ কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।











