সাজেকে বনবিভাগের কার্যালয় ভাঙচুর ও লুটপাট, এক বনরক্ষী আহত
বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে বনবিভাগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় ইউপিডিএফ। এ ঘটনায় আশরাফুল আলম নামে এক বনরক্ষী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের হামলায় কার্যালয়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট করা হয় এবং একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। রবিবার দুপুরে সাজেকের মাচালং একুইজ্জাছড়ি এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা বনবিভাগের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করতে গেলে ইউপিডিএফ নেতা সচিব চাকমার নেতৃত্বে সংঘবদ্ধভাবে লাঠিসোঁটা নিয়ে বনবিভাগের কর্মীদের ওপর আক্রমণ করে ইউপিডিএফ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নারী কর্মীরা।
পরে তারা মাচালং বাজারে বনবিভাগের কার্যালয়ে আক্রমণ করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় আশরাফুল আলম নামে এক বনরক্ষীকে অপহরণের চেষ্টা চালানো হয়।
সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইউপিডিএফের অপহরণের হাত থেকে বনরক্ষী আশরাফুল আলমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। ইউপিডিএফ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নারী সন্ত্রাসীরা পরে গাছ কেটে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে সাজেক সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। এতে সাজেকে বেড়াতে আসা শত শত পর্যটক ও সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমার মেয়ের বিয়েতে আসা অতিথিরা আটকে পড়েন।
সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী সড়কের গাছ সরাতে গেলে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নারী কর্মীরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে চরমভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করে উসকানি দিতে থাকে। ইউপিডিএফ পরিচালিত সিএইচটি নিউজসহ বিভিন্ন আইডি ব্যবহার করে সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার ছড়িয়ে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
সেনাবাহিনী ইউপিডিএফের পাতা ফাঁদে পা না দিয়ে কৌশলে সড়ক থেকে গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এই ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে শতাধিক লোককে আসামি করে মামলার প্রস্তুতি চলছে। সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এখানে বহিরাগত লোকজন এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। মামলা হলে প্রশাসন আইনগত পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে সাজেক বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বনের জমিতে ইউপিডিএফ স্কুলের নামে জমি দখল করে স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। এর আগে বহুবার নিষেধ করা হয়েছে, বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়েছে, তারপরও ইউপিডিএফ বনের জমিতে জোরপূর্বক অবৈধ স্থাপনা তৈরি করছে। আজ বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং কার্যালয় ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সাজেক থানার ওসি জানান, মামলা হলে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।











