সম্পত্তির অংশের জন্য বাবার লাশ দাফনে বাধা, ৩৮ ঘন্টা পর ইউএনওর হস্তক্ষেপে দাফন
জাগো জনতা অনলাইন।। চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারার দ্বন্দে পিতার লাশ দাফনের বাধা সৃষ্টি করেন সন্তানরা। হাটহাজারী পৌরসভার সেকান্দর মঞ্জিলে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে রবিবার মাগরিবের নামাজের পর নামাজে জানাযার সিদ্ধান্ত নেন।
গত দুইদিন ধরে লাশবাহী গাড়িতে বাবার লাশ পড়ে থাকলেও মন গলেনি কারো। এলাকাবাসী স্বজনরা মৃতের খবর পেয়ে শোক জানাতে এবং চার চারবার জানাযা পড়তে আসলেও বিরক্ত হয়ে ও আফসোস নিয়ে একে একে চলে যান। নিহতের প্রথম স্ত্রীর দুই ছেলে ও তিন মেয়ে এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ও এক মেয়ে। বত্রিশ বছর আগে প্রথম স্ত্রীকে দেন নিহত সেকান্দর।
জানা গেছে, শনিবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে সেকান্দর মিয়া (৭২) মারা যান। নিহতের দুই সংসারের মধ্যে দ্বিতীয় সংসারের সন্তানরা দাফন কাফনের প্রস্তুতি নিয়ে শনিবার সকাল ১১ টায় বাড়ির ঈদগাহ ও দুপুর ২ টায় নিজ বাড়ি মেখল বাদামতল এলাকা এবং রবিবার একই সময়ে নামাজে জানাযার সময় নির্ধারণ করলে বাধা প্রদান করেন সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত দ্বিতীয় ঘরের ডিভোর্সি স্ত্রী ও তার সন্তানরা।
তাদের দাবি শরিয়ত ও আইন অনুযায়ী ডিভোর্স হলেও সন্তানরা বাবার সম্পত্তি প্রাপ্ত। কিন্তু বাবা তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানদের প্ররোচনায় তাদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেন। তবে ঘটনাস্থলের ক্রয়কৃত সম্পত্তির কিয়দংশ বিগত তিন বছর আগে দখল করে সেমিপাকা ঘর করে বসবাস করে আসছে বঞ্চিতরা। এরপর থেকেই পাল্টাপাল্টি মামলা চলছে আদালতে।
জানতে চাইলে সম্পত্তি বঞ্চিত পরিবার জানান, স্ত্রী সন্তানদের প্ররোচনায় তাদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেন যা সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থি। দ্বিতীয় ঘরের এরশাদ নামে এক ছেলেকে চার শতক জায়গা দিলেও দ্বিতীয় সংসারের ইমতিয়াজ সে জায়গা দেখিয়ে ব্যাংক থেকে মোটা অংকের লোন নিয়েছেন কয়েকবছর আগে।
এদিকে এলাকাবাসী ঘটনাটি জানতে পেরে আইন অনুযায়ী সম্পত্তি বণ্টনে উভয় পক্ষের মধ্যে স্ট্যাম্প করে লাশ দাফনে অনুরোধ করলেও তারা রাজি হননি। এক পক্ষের দাবি প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে আগে স্ট্যাম্প অপর পক্ষের দাবি ছিল আগে লাশ দাফন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, স্থানীয় ও পুলিশের সমন্বয়ে উভয় পক্ষে আলোচনা সাপেক্ষে মাগরিবের পর লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত হয়।











