সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে যাওয়ার ৫ দিন পর একজনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ৩
এম,ইব্রাহিম খলিল,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি :
চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার সন্দ্ধীপ চ্যানেলে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ডুবে যাওয়া বালু বহনকারী বাল্কহেড চারজন শ্রমিক নিয়ে নিখোঁজ হয়। পাঁচ দিন পর ভেসে উঠেছে এক জনের লাশ । বাকি তিন জন শ্রমিক এর ভাগ্যে কি ঘটেছে এখন ও অজ্ঞাত।
চারজন এর মধ্যে কেবল নবীর লাশ পাওয়া গেল। ২৯ ফেব্রুয়ারী
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের আকিলপুর সমুদ্র সৈকত থেকে গাউছিয়া কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় নবীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নৌপুলিশের কুমিরা ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন বলেন বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিল নৌযানটির মালিক সৈয়দ জুনাইদুল হক। উদ্ধাকৃত লাশ ঐ ডুবে যাওয়া নৌযান এর শ্রমিক। সকালে উপকূলে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন নৌপুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে তাঁরা গাউছিয়া কমিটির সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করেন। নিখোঁজ নৌশ্রমিকেরা হলেন আবদুল মান্নান, আবদুল হান্নান, সোনা মিয়া ও নবী হোসেন। উদ্ধারকৃত লাশ নিহত নবী হোসেন লক্ষ্মীপুরের মো. ইব্রাহিম ছেলে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন পিপিএম জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্দ্বীপ চ্যানেলে বালু বহনকারী একটি বাল্কহেড ডুবে যায়। সে সময় চার নৌশ্রমিক নিখোঁজ হন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েও উদ্ধার করতে পারেনি। উল্লেখ যে ২৫ ফেব্রুয়ারি বালুভর্তি বাল্কহেড সীতাকুণ্ড উপকূল থেকে সন্দ্বীপের দিকে যাচ্ছিল দুপুর দেড়টার দিকে ঢেউয়ের আঘাতে বাল্কহেডের ডুবে যায়। ঐ ঘটনায় বাল্কহেডে থাকা চার নৌশ্রমিক নিখোঁজ হন। গাউছিয়া কমিটির সদস্য মামুন বলেন,উদ্ধার কৃত লাশের গায়ে হলুদ রঙের টি-শার্ট রয়েছে। পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করেন।