সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে বান্দরবানে ছাত্রজনতার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

বান্দরবান প্রতিনিধি।। বান্দরবানে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ধর্ষণের বিরুদ্ধে এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সংস্কারের দাবীতে ছাত্রজনতার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল।
বান্দরবানে সচেতন ছাত্রজনতার উদ্যোগে দেশব্যাপী সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং বান্দরবানের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে জরুরী সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বান্দরবান শহরের ট্রাফিক মোড়স্থ শহিদ আবু সাঈদ মুক্তমঞ্চ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।এ
তে বক্তব্য রাখেন বান্দরবান জেলা ছাত্র প্রতিনিধি জনাব আসিফ ইকবাল, মুহাম্মদ মুসা, মিছবাহ উদ্দীন, হাবিব আল মাহমুদ, আমান উল্লাহ, মুহাম্মদ ইসমাইল, মেহেদী হাসান ও রুমি সেন প্রমুখ। উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, প্রায় ২ সহস্রাধিক শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিপ্লবের পরও দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, খুন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চরম ব্যর্থতার পরিচয়। বিপ্লবের ৭ মাস পরে এসেও চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের বিচারের জন্য ছাত্রদের রাস্তায় নামতে হওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক বলেও উল্লেখ করেন। বক্তারা বলেন, সারাদেশ সহ বান্দরবানেও সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজি ও দূর্নীতি সহ ইত্যাদির বিরুদ্ধে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সোচ্চার হওয়া দরকার। অন্যথায় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগের আন্দোলনেরও হুশিয়ারি দেন নেতারা।
বক্তারা আরো বলেন, বান্দরবানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত নিয়ে অভ্যুত্থান পরবর্তী আমরা অসংখ্যবার জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি, মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন ভাবে সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও তারা কর্ণপাত করেন নি। ছাত্র নেতারা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসন ঘেরাও কর্মসূচির হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সর্বশেষ বক্তারা, বান্দরবানে আওয়ামী সন্ত্রাস ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম এবং ৩৭ হাজার কোটি টাকা দূর্নীতির মূলহোতা বীর বাহাদুরসহ অন্যান্য আওয়ামী দোসরদের গ্রেপ্তার না করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অতিদ্রুত অপারেশন ডেবিল হান্টের আওতায় তাদের গ্রেপ্তার এবং বিচার৷ নিশ্চিত করার দাবি জানান। অন্যথায় পুনরায় ছাত্র জনতা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ার করেন