ঢাকা | নভেম্বর ২৩, ২০২৪ - ১:৫৯ অপরাহ্ন

সদরঘাটে বাড়ি ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড়

  • আপডেট: Sunday, June 16, 2024 - 4:02 am

জাগোজনতা প্রতিবেদন : বছর ঘুরে আবার দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নদীপথে ঢাকা ছাড়ছে অসংখ্য মানুষ।

আজ শনিবার ও গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সদরঘাট থেকে যেসব রুটে দিনে এবং রাতে লঞ্চ ছেড়ে যায় সেগুলো দুপুরের আগেই ঘাটে নোঙর করে। কেবিনের যাত্রীরা কিছুটা বিলম্ব করে এলেও ডেকের যাত্রীরা আগেভাগেই ঘাটে এসে পৌঁছান। অনেকে অন্য সময়ের যানজটের আশঙ্কা থেকেও আগেভাগে টার্মিনালে এসে পৌঁছেছেন। অন্যদিকে যাত্রী বোঝাইয়ের পরও আরও বেশি যাত্রী ওঠানোর জন্য হাঁকডাক দিচ্ছেন লঞ্চ শ্রমিকরা। সন্ধ্যায় প্রায় প্রতিটি লঞ্চকেই অতিরিক্ত যাত্রী নিতে দেখা যায়

যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের আওতায় এবার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে মোট ১৮০টি লঞ্চ ছাড়বে। এসব নৌপরিবহনের মধ্যে ঢাকা থেকে ছাড়বে ৯০টি, বিভিন্ন স্থান থেকে ৯০টি ঢাকায় আসবে।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বরিশালগামী যাত্রী বিল্লাল হোসেন বলেন, আমাদের জন্য তো এখন সড়ক, নৌপথ দুটোই খোলা। যেখান দিয়ে সুবিধা সেখান দিয়ে যাওয়া যায়। তবে আমি নৌপথে চলাচল করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। সড়ক দিয়ে বরিশাল যাওয়া সহজ এবং নৌপথের চেয়ে অনেক কম সময় লাগে। তবু লঞ্চ টার্মিনালে এত ভিড় দেখে বোঝার উপায় নেই যে সড়ক দিয়ে বরিশালে খুব সহজে যাওয়া যায়। পদ্মা সেতু হওয়ার আগে ঈদকেন্দ্রিক লঞ্চে যে চাপ ছিল সেটা অবশ্য এখন নেই। এ কারণে আমরা আরামে যাত্রা উপভোগ করতে পারছি।
এ ছাড়া বিভিন্ন লঞ্চ হতে আরও কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বললে তারা লঞ্চের ডেকের ভাড়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও কেবিনের ভাড়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে তানভীর ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, ডেকের ভাড়া স্বাভাবিক সময়ের মতোই রাখা হচ্ছে তবে কিছু কিছু লঞ্চের কেবিন ভাড়া একটু বেশি রাখা হচ্ছে।
সদরঘাট নৌ-পুলিশ থানার ওসি মো. আবুল কালাম বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে প্রতিটি লঞ্চ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। কোনও লঞ্চে যেন অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করে সেজন্য আমরা সতর্ক করেছি।
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা নদী বন্দর নৌযান চলাচল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক মো. মামুন-অর-রশিদ বলেন, ঈদ কেন্দ্রিক ভিড় একদম কম। গত কোরবানির ঈদে যে যাত্রী ছিল সে তুলনায় এ কোরবানির ঈদে যাত্রী অনেক কম। দিন যত যাচ্ছে ঘাটে যাত্রী কমছে। গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত একটি ওভারব্রিজ ও মেট্রোরেল চালু হলে যাত্রী বাড়বে। সদরঘাট ও লঞ্চ ব্যবসাকে বাঁচাতে হলে এটি প্রয়োজন।