শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি গ্রেপ্তার ও এসআই শাহাদাৎ ৬ দিনের রিমান্ডে
জাগো জনতা অনলাইন।।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় গুলিতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপ-পরিদর্শক মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজী নগর এম. ডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমাম হাসান তাইমকে হত্যা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই হত্যা মামলায় আরেক পরিদর্শক জাকিরকে খুঁজছে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ওই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শাহবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহাদাৎ আলীর ৬ দিনের রিমান্ড আদেশ দেয় আদালত। সোমবার শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এসময় আসামির পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধীতা করেন। শুনানি শেষে আদালত তার ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ২০ আগস্ট নিহতের মা মোসা. পারভীন আক্তার ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এডিসি শাকিল মোহাম্মদ শামীম, এসি তানজিল আহমেদ, যাত্রাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেনকেউ মামলার আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সরকার কারফিউ জারি করে। ওইদিন দুপুর ১২ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। ওই সময় তাইম তার দুই বন্ধুর সাথে যাত্রাবাড়ির কাজলা এলাকায় চা খেতে যায়। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছিল। তখন ইকবাল হোসেন, শামীম ও তানজিল আহমেদের নির্দেশে জাকির হোসেন ও তার সঙ্গীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গুলি চালায়।
প্রাণ ভয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা এলোপাথারী ছুটাছুটি করতে থাকে। তাইম ও তার দুই বন্ধু লিটন চা স্টোরের ভেতর ঢুকে দোকানের সাটার টেনে দেয়। কিন্তু সাটারের নিচের দিকে আধা হাত খোলা ছিলো। সেখানে অবস্থারকারীদের পুলিশ টেনে বের করে। জাকির হোসেন গুলির থেকে বাঁচতে চাইলে দৌঁড় দিতে বলে। তখন তাইম সবার আগে দৌঁড় দেয়। জাকির গুলি করে। বিনা চিকিৎসায় তাইম সেখানেই মারা যায়।