শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না
		জাগো জনতা অনলাইন।। উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত অনুমোদনের পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী যদি সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা অন্য কোনো পদে অধিষ্ঠিত থাকে, তবে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জারি করা অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করে আইন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে এ তথ্য জানা গেছে।
ভোটার প্রতি যত টাকা খরচ করতে পারবেন প্রার্থী
আরপিও’তে বলা হয়েছে ,কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বা সদস্য হিসেবে থাকলেও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পরিচালনায় ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডিতে থাকা কেউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি হওয়ায় এবারের ভোটে বেশ কিছু নতুন বিধান এলো। আদালত ঘোষিত ফেরারি আসামি ভোট করতে পারবে না, এমন বিধান যুক্ত হলো এবার। দেড় দশক পর আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞায় যেমন সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত হয়েছে, তেমনি ‘না’ ভোট ফিরছে একক প্রার্থীর আসনে। সমভোট পেলে হবে পুনভোট, জোটে ভোট করলেও নিজ দলের মার্কায় ভোট, জামানত ৫০ হাজার টাকা, দল আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা জরিমানা, আইটি সাপোর্টে পোস্টাল ভোটিং পদ্ধতি, অনিয়মে পুরো আসনের ভোট বাতিল, এআই এর অপব্যবহার করলে নির্বাচনি অপরাধ এবং হলফনামায় অসত্য তথ্য দিলে (ভোটে অযোগ্য এমন) নির্বাচিত হওয়ার পরও ব্যবস্থা নিতে পারবে ইসি।
অনুচ্ছেদ-২: আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর মধ্যে সেনা বাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনী থাকছে। ২০০১ ও ২০০৮ সালের ভোটে এমন বিধান ছিল। এ সংজ্ঞা সংশোধন করায় তিনটি নির্বাচনের পর ফের তা ফিরে এলো।
অনুচ্ছেদ-৮: ভোটকেন্দ্র (পোলিং স্টেশন) প্রস্তুতের ক্ষেত্রে জেলা নির্বাচন অফিসারের হাতে রাখা হয়েছে। এ কর্মকর্তারা তালিকা করে কমিশনের অনুমোদন নেবে।
অনুচ্ছেদ ৯: রিটার্নিং অফিসার কোনো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলে ইসিকে অবহিত করবেন।
সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা অন্য কোনো পদে অধিষ্ঠিত থাকলে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন।

			









