ঢাকা | নভেম্বর ৫, ২০২৫ - ৪:৩৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম

শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণায় সহযোগিতা বাড়াতে ঢাবি ও বিপসটের চুক্তি

  • আপডেট: Wednesday, November 5, 2025 - 2:36 pm

জাগো জনতা অনলাইন।। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন্স ট্রেনিং (বিপসট)-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক ( MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ ৫ নভেম্বর ২০২৫ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং বিপসট-এর ডেপুটি কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাফিজ মাহমুদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, বিপসটের সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর-১ কর্নেল কাজী নাদির হোসেন, জিএসও-১ (প্রশিক্ষণ) লে. কর্নেল শেখ মো. মুরাদ হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।

চুক্তি অনুযায়ী, আগামী দশ বছর মেয়াদে উভয় প্রতিষ্ঠান শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ( Peacekeeping Operations) সংক্রান্ত গবেষণা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করবে। এই সহযোগিতার মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চুক্তির আওতায় দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিশেষজ্ঞদের বিনিময় কর্মসূচি, যৌথ গবেষণা, সেমিনার, কর্মশালা এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে পারস্পরিক সফর আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় একাডেমিক প্রতিষ্ঠান ও শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিপসটের পারস্পরিক এই সহযোগিতা বাংলাদেশের জ্ঞানভিত্তিক শান্তি অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণকে নতুন মাত্রা দেবে।

তিনি বলেন, শান্তি ও সংঘর্র্ষ অধ্যয়ন আজকের বৈশ্বিক বাস্তবতায় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই জ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদানকে আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কাজ করে আসছে। বিপসটের সঙ্গে এই সহযোগিতা সেই লক্ষ্যকে আরও শক্তিশালী করবে।

কোষাধ্যক্ষ আরও বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন। একাডেমিক ও পেশাগত উভয় ক্ষেত্রেই এ উদ্যোগ শান্তি প্রতিষ্ঠার জ্ঞানচর্চাকে সমৃদ্ধ করবে।