এরপর দুপুর ২টা ২০ মিনিটে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন ফরম জমা দেন তিনি।
মনোনয়ন দাখিলের সময় জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পাঁচটি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ—যা পুরো কর্মসূচিকে করে তোলে আবেগঘন ও তাৎপর্যপূর্ণ।
মনোনয়ন জমা শেষে প্রতিক্রিয়ায় ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা অলি আহাম্মদের নেতৃত্বে এলডিপি, এলসিপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দল আজ আমাদের জোটভুক্ত হয়েছে। ২৪ জুলাইয়ের চেতনা ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা—এই দুইয়ের সমন্বয়েই অর্জিত হবে কাঙ্ক্ষিত বিজয়। এটি কয়েকটি দলের জোট নয়, এটি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জোট।
তিনি আরও বলেন, শহীদ ওসমান হাদী ইনসাফের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে শাহাদাত বরণ করেছেন। সেই ইনসাফের বাংলাদেশই আমরা বিনির্মাণ করতে চাই। আমরা প্রতিযোগিতা চাই, প্রতিহিংসা নয়।”
বাউফলের ত্যাগ ও আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, সাতজন শহীদের রক্তে ভেজা এবং প্রায় আড়াই শতাধিক আহত-পঙ্গুত্ববরণকারী ভাই-বোনের এই বাউফল। আমরা শহীদ ও আহতদের প্রত্যাশা পূরণ করতে চাই। আমরা বাউফলবাসীকে বিজয়ী করতে চাই, তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. মাসুদ বলেন, দীর্ঘ বছর পর যেন বাউফলের মানুষ অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন পরিবেশে ভোট দিতে পারে। প্রশাসন কারো দলের হয়ে নয়, জনগণের হয়ে কাজ করবে—এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা সহকারী সেক্রেটারি এবিএম সাইফুল্লাহ, উপজেলা আমির মাওলানা মো. ইসহাক মিয়া, নায়েবে আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, জেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
আরো উপস্থিত ছিলেন জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ আশিকুর রহমান হৃদয়, মেহেদী হাসান, সাইদুর রহমান রানা, জাহাঙ্গীর হোসেন ও আমিন-এই পাঁচ শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
দশটি মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করা হলো পাঁচটি রাজনৈতিক দল আজ বাউফলে সহকারী রি ট্রেনিং অফিসারের কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। তার মধ্যেও জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত প্রার্থী শহিদুল আলম তালুকদার, এবি পার্টির মোঃ রুহুল আমিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মুফতি আবদুল মালেক , গণধিকার পরিষদের মোঃ হাবিবুর রহমান।