ঢাকা | ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ - ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

শহীদ গোলাম দস্তগীর সমাধিতে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের শ্রদ্ধাঞ্জলি

  • আপডেট: Saturday, December 14, 2024 - 6:24 am

ইউসুফ আলী খান।। সাভার-আশুলিয়া মুক্ত দিবসে শহীদ গোলাম দস্তগীর টিটোর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আশুলিয়া প্রেসক্লাব। তাকে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে সাভার মুক্ত দিবস।

১৯৭১ সালের এই দিনে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর টিটোর রক্তের বিনিময়ে হানাদারমুক্ত হয় সাভার।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন ডেইরি গেট এলাকায় বীর কিশোর মুক্তিযোদ্ধার সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানানো হয় ও শহীদ টিটোর আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এসময় আশুলিয়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক খোকা মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর হাতে গোলাম মোহাম্মদ দস্তগীর টিটো শহীদ হন। পরে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী টিটো’র স্মরণে এই স্তম্ভটি তৈরি করা হয়। সেই থেকে ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে তাঁর বেদিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় তিনি আরো বলেন শহীদ গোলাম মোহাম্মদ দস্তগীর টিটো’র কবরটি প্রশাসনের অবহেলা অযত্নে পড়ে থাকে। তাই তার কবরটি স্থানান্তর করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এসময় আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব সোহেল রানা বলেন, শহীদ গোলাম মোহাম্মদ দস্তগীর টিটো ছিলেন মানিকগঞ্জের সন্তান। ১৯৭১ সালে তিনি যখন মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর এবং তিনি ছিলেন দশম শ্রেণীর ছাত্র। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে তিনি যখন গুলিবিদ্ধ হন তখন তাকে কেন্দ্রীয় গো প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান।

গোলাম দস্তগীর টিটোর সহযোদ্ধাদের কাছ থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সকালে সাইকেলে করে একজন এসে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের খবর দিলো যে গাজীপুর থেকে পাকহানাদার বাহিনীরা আসছে। আমাদের কমান্ডারের নির্দেশে সেদিন আমরা পাকবাহিনীকে রুখতে ও যুদ্ধ করতে রওনা হই। সেদিন আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো পাকবাহিনীকে এ দেশ থেকে বিতারিত করা।

আরও জানা যায়, সহযোদ্ধাদের নিষেধ উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় পাকবাহিনীর ছোড়া গুলিতে শহীদ হয় কিশোর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর টিটো। এরপরেও যুদ্ধ চালিয়ে যান মুক্তিযোদ্ধারা। এসময় আহত হয় এক মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর তিন জন পাক সেনা নিহত হয়। পরাজিত হয়ে পিছু হটে পাকহানাদার বাহিনী। পরে সাভারকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করা হয়।