শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুতে ইরানের শোক
ডেস্ক রিপোর্ট।। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহিদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাস। এক শোকবার্তায় তারা এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা জানিয়েছে।
এক শোকবার্তায় বলা হয়েছে, শরিফ ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুতে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে ইরানের দূতাবাস। এই শোকাবহ ঘটনায় তারা গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে এবং কঠিন এই সময়ে বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে শহিদ শরিফ ওসমান হাদির পরিবার, সহকর্মী এবং এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সবার জন্য সান্ত্বনা ও শক্তি কামনা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের জন্য শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি অব্যাহত থাকার আশাও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুই সন্ত্রাসীর গুলিতে মারাত্মক আহত হন ওসমান হাদি। রিকশায় থাকা অবস্থায় তার মাথায় গুলি লাগে। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর সরকারিভাবে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। তবে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে (এসজিএইচ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি চত্বরেই তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা। জানাজা শেষে লাশবাহী ফ্রিজিং ভ্যানে ওসমান হাদির মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়।
এদিকে হাদির মৃত্যুর ঘটনায় হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছিলেন হাদি।











