উপদেষ্টা পরিষদের ১৬ সদস্য হলেন–বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকার কর্মী আদিলুর রহমান খান, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেন, পরিবেশকর্মী ও আইনজীবী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদিপ চাকমা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, হাসান আরিফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ফরিদা আখতার, বিধান রঞ্জন রায়, হেফাজতে ইসলামের সাবেক নায়েবে আমির আ ফ ম খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, নির্বাচন পর্যবেক্ষক শারমিন মুরশিদ ও ফারুকী আযম।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সবাই জানেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বেই তাঁর পরিচিতি রয়েছে। কিন্তু বাকি সম্ভাব্য উপদেষ্টাদের কার কী পরিচয়। দেখা যাক–
সালেহ উদ্দিন আহমেদ
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নরের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৬৩ সালে এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক পাস করেন এবং ১৯৬৯ সালে একই বিষয়ে এমএ পাস করেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। পরে তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রশাসনে সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান (সিএসপি) ক্যাডারে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে কানাডার হ্যামিল্টন শহরে ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আসিফ নজরুল
পুরো নাম মো. নজরুল ইসলাম। তবে আসিফ নজরুল নামেই তিনি অধিক পরিচিত। এ নামেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে লেখালিখি করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই অধ্যাপক একাধারে লেখক, ঔপন্যাসিক, কলামিস্ট, রাজনৈতিক ভাষ্যকার। আসিফ নজরুল ১৮৮৬ ও ১৯৮৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে যথাক্রমে এলএলবি ও এলএলএম সম্পন্ন করেন। ১৯৯৯ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতার আগে তিনি বাংলাদেশ সরকারের একজন সাংবাদিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন।
আদিলুর রহমান খান
আদিলুর রহমান খান মানবাধিকারকর্মী হিসেবে সমধিক পরিচিত। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা আদিলুর রহমান খানের জন্ম ১৯৫২ সালে। সাবেক এই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল হোসেন মোহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময় তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালে হেফাজত-ই-ইসলাম বাংলাদেশের শাপলা চত্বরে বিক্ষোভের সময় নেতা-কর্মীদের অপসারণের অভিযানে নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তি ছড়ানোর’ অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।
এ এফ হাসান আরিফ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এ এফ হাসান আরিফ। এ ছাড়া বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি, এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। হাসান আরিফ অক্টোবর ২০০১ সাল থেকে ২৮ এপ্রিল ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার আইনজীবী ছিলেন। তিনি ১৯৭০ এর দশকে এ এফ হাসান আরিফ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন।
তৌহিদ হোসেন
মো. তৌহিদ হোসেনের জন্ম ১৯৫৫ সালে। ২০০৬‑এর শেষ থেকে ২০০৯ এর জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন পররাষ্ট্র সচিবের। ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা তৌহিদ হোসেন ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। ফরেন সার্ভিস একাডেমির অধ্যক্ষের পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এ ছাড়া ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় যুক্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সাথে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তাঁর জন্ম ১৯৬৮ সালে ঢাকায়। যদিও পৈতৃক নিবাস হবিগঞ্জে। পরিবেশ নিয়ে কাজ করার স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন দেশি‑বিদেশি বহু পুরস্কার। রিজওয়ানা হাসান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। প্রথমে লোকপ্রশাসন বিভাগে ভর্তি হলেও পরে আইন বিভাগে ভর্তি হন। এ বিভাগ থেকেই স্নাতক ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৭ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আইজেনহাওয়ার ফেলোশিপ করেন। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৯৩ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতিতে (বেলা)। ১৯৯৭ সালে বেলার সংগঠক ও প্রধান মহিউদ্দিন ফারুক মারা গেলে রিজওয়ানা বেলার প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেন। পরিবেশের পাশাপাশি শ্রমিক অধিকার আদায়, বিষাক্ত পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশে প্রবেশ বন্ধসহ নানা সময়ে নাগরিক অধিকার আদায়ে সোচ্চার থেকেছেন। বেসরকারি এসব কাজ ছাড়াও তিনি সরকার কর্তৃক গঠিত বিভিন্ন কমিটির সদস্য। এ ছাড়া তিনি আন্তর্জাতিকভাবে ফ্রেন্ডস অব আর্থ ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী সদস্য; এনভায়রনমেন্টাল ল অ্যালায়েন্স ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং এনভায়রনমেন্টাল ল কমিশন অব দ্য আইইউসিএনের সদস্য। এ ছাড়া তিনি দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করছেন সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অব এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকটিভিস্ট (সানস)।
এম সাখাওয়াত হোসেন
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন একজন বাংলাদেশি সামরিক ব্যক্তিত্ব ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক। নির্বাচন কমিশনের সাবেক এই সদস্যের জন্ম ১৯৪৮ সালে বরিশালে। তেজগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে এসএসি সম্পন্ন করেন ১৯৬৩ সালে এসএসসি করাচি থেকে। সেখানেই ১৯৬৫ সালে এইচএসসি পাস করেন। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যায়নকালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৬৬ সালে কশিমন লাভ করেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি শিয়ালকোটে ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেজর পদে কুমিল্লা সেনানিবাসে যোগ দেন। এর বাইরে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন দুই বছর। চাকরি ও নির্বাচন কমিশন থেকে অবসরের পর তিনি জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে গবেষণা করছেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায় নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিসেবে কলাম অনেক লিখেছেন।
সুপ্রদীপ চাকমা
১৬ উপদেষ্টাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্তব্যরত। ২০২৩ সালে ২৪ জুলাই তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। সুপ্রদীপ চাকমার জন্ম ১৯৬১ সালে খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। সুপ্রদীপ চাকমা বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি সপ্তম বিসিএসে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। মেক্সিকো ও ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত ছিলেন সুপ্রদীপ চাকমা।
ফরিদা আখতার
বেসরকারি সংস্থা উবিনীগের (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। ফরিদা আখতারের জন্ম চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার হারলা গ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছেন। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের অবস্থা জানা এবং পরিবর্তনের জন্য নীতিনির্ধারণী গবেষণা ও লেখালেখিই তাঁর কাজের প্রধান জায়গা। নারী উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য সম্পদ, তাঁত শিল্প, গার্মেন্টস শিল্প ও শ্রমিক, জনসংখ্যা এবং উন্নয়নমূলক বিষয়ে নিবিড়ভাবে দীর্ঘ প্রায় তিন দশক ধরে কাজ করছেন।
ডা. বিধান রঞ্জন রায়
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায়।
আ ফ ম খালিদ হাসান
উপদেষ্টাদের মধ্যে রয়েছেন আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ খালিদ হোসেন, যিনি আ ফ ম খালিদ হোসেন নামে সর্বাধিক পরিচিত। খালিদ হোসেনের জন্ম ১৯৫৯ সালে। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা, মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের কুরআনিক সায়েন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অতিথি শিক্ষক। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত ইসলামী বিশ্বকোষ দ্বিতীয় সংস্করণের ৩ থেকে ৯ খণ্ড ও সীরাত বিশ্বকোষ সম্পাদনা করেছেন।
নুরজাহান বেগম
নূরজাহান বেগম ২০১০ সালে চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যা তিনি পেয়েছিলেন ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে। তিনি এখন গ্রামীণ পরিবারের একটি অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ শিক্ষার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প শুরুর সময় তিনি ড. ইউনূসের প্রথম সারির সহযোগীদের একজন ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন এ শিক্ষার্থী গ্রামীণ ব্যাংকের তৃণমূল গোষ্ঠীতে দরিদ্র গ্রামীণ নারীদের সংগঠিত ও প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি অনেক দেশে মাইক্রো-ক্রেডিট প্রোগ্রামের পরামর্শদাতা, প্রশিক্ষক এবং মূল্যায়নকারী হিসেবে কাজ করেছেন এবং বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সম্মেলন এবং সেমিনারে বক্তৃতা দিয়েছেন। তিনি গ্রামীণ ফাউন্ডেশন কর্তৃক সুসান এম. ডেভিস লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০০৮ লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি ওয়ার্ল্ড সামিট মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস অ্যাওয়ার্ড ২০০৯ এবং ভিশন অ্যাওয়ার্ড ২০০৯-এ ভূষিত হন। তিনি ২০০৭ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত ফরচুন মোস্ট পাওয়ারফুল উইমেন সামিটে অংশগ্রহণ করেন এবং স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় অনুষ্ঠিত ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিস পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতি নিযুক্ত হন ২০০৭ সালে।
শারমিন মুরশিদ
উপদেষ্টাদের মধ্যে রয়েছেন বেসরকারি সংস্থা ব্রতী’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ। তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের সময় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার ও নানা অনিয়ম নিয়ে কথা বলেছেন। দেশি‑বিদেশি গণমাধ্যমে তাঁর মতামত ও পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে প্রচার হয়। সবশেষ ৭ জানুয়ারি ২০২৪ এর নির্বাচন বিষয়ে আমেরিকার একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এই নির্বাচনকে নির্বাচন বলি না।’ বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হয়।
ফারুক–ই–আজম
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ফারুক–ই–আজম। নৌকমান্ডো ফারুক ই আজম বীর প্রতীকের জন্ম চট্টগ্রামে। মহান মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সমন্বিত যুদ্ধাভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’–এর অভিযানিক দলের উপ-অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূচনাকালে ফারুক-ই-আজম উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ওই সময় তিনি খুলনায় ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে তিনি চট্টগ্রামে পৌঁছান। পরে যোগ দেন নৌকমান্ডো হিসেবে।
মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এর মধ্যে আসিফ মাহমুদ গত বছর গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক। নাহিদ ইসলাম শুরু থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বের প্রথম সারিতে ছিলেন।