লক্ষীছড়িতে সেনা অভিযানে ইউপিডিএফের কাঠ পাচার নেটওয়ার্কে বড় ধাক্কা
৪ হাজার ঘনফুট অবৈধ কাঠ উদ্ধার, বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।
প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের অর্থের অন্যতম প্রধান উৎস অবৈধ কাঠ পাচার চক্রে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর ২০২৫) সকালে খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়িমুখ বাজার সংলগ্ন দেওয়ানপাড়া এলাকা থেকে অবৈধভাবে পাচারকালে প্রায় ৪,০০০ ঘনফুট কাঠ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর লক্ষীছড়ি জোন। উদ্ধারকৃত কাঠের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, বর্মাছড়ি এলাকার দুর্গম বনাঞ্চলকে ঘিরে ইউপিডিএফ বহু বছর ধরে কাঠ পাচারকে সংগঠনের অর্থ জোগানের প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। কাঠ ব্যবসায়ী ও পরিবহনকারীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়, নিরাপদ রুট নিশ্চিত করা এবং পাহাড়ি বনাঞ্চলে দখল কৌশলের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি—এই অবৈধ অর্থ থেকেই ইউপিডিএফ তাদের সশস্ত্র দল পরিচালনা, অস্ত্র সংগ্রহ, নতুন সদস্য নিয়োগ এবং এলাকায় ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে সাংগঠনিক আধিপত্য টিকিয়ে রাখে।
সেনা টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে কাঠ পাচারকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে উদ্ধারকৃত কাঠ বন বিভাগের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে, সম্প্রতি ইউপিডিএফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্মাছড়ি এলাকায় “সশস্ত্র তৎপরতা নেই” দাবি করে সেনা উপস্থিতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর মতে, এই অপপ্রচার মূলত অবৈধ কাঠ পাচারসহ সংগঠনের অর্থনৈতিক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আড়াল করার উদ্দেশ্যে চালানো হচ্ছে।
লক্ষীছড়ি জোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়—
“অবৈধ চোরাচালান ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে সেনাবাহিনী নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”











