ঢাকা | অক্টোবর ৩০, ২০২৫ - ১০:১৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম

লংগদুতে বিজিবির সহযোগিতায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা – ভবিষ্যতে সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার পাহাড়ি-বাঙালির

  • আপডেট: Thursday, October 30, 2025 - 6:31 pm

 

মো. গোলামুর রহমান, লংগদু (রাঙ্গামাটি)।

রাজনগর জোনের অধীনস্থ চরুয়াখালী বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বাসিন্দা আজিজুল হক আবু বক্কর সিদ্দিকের নিকট (সিদ্দিক সূশীলময় চাকমার থেকে ক্রয় করে) এবং জজ মিয়া সুমন চাকমার নিকট হতে পাহাড়ি জমি রাঙ্গামাটি জেলা আদালত কর্তৃক এফিডেভিটের মাধ্যমে ক্রয় করেছিলেন।

উক্ত জমি বাঙালির নিকট বিক্রয় করায় স্থানীয় পাহাড়িদের মধ্যে পূর্ব থেকেই অসন্তোষ বিরাজ করছিল। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ কয়েক দফায় মিমাংসার উদ্যোগ নিলেও পাহাড়িদের অসহযোগিতার কারণে তা সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে গত ২০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে পাহাড়ি/বাঙালি বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে এবং পরবর্তীতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় লংগদু থানা পুলিশ কর্তৃক ৩ জন বাঙালিকে আটক করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে। মিমাংসার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ চলাকালে লংগদু থানা পুলিশ কর্তৃক হঠাৎই বাঙালিদের গ্রেফতারের ফলে এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে গত ২২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে বিজিবির উদ্যোগে পাহাড়ি/বাঙালি ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি পরিবারকে (পাহাড়ি ৩, বাঙালি ২) নগদ অর্থ, খাদ্য ও বস্ত্র সহায়তা প্রদান করা হয়।

সে প্রেক্ষিতে অদ্য ৩০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ চরুয়াখালী বিজিবি ক্যাম্পের সম্মুখে রাজনগর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল নাহিদ হাসান এবং ইউএনও বাঘাইছড়ি আমেনা মারজান কর্তৃক বেসামরিক প্রশাসনের মধ্যস্থতায় এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিষয়টির স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আজিজুল কর্তৃক ভোগদখলীয় জায়গায় তিনি বসবাস করবেন। জজ মিয়া কর্তৃক ক্রয়কৃত জমির পরিবর্তে অন্যত্র জমি প্রদানের বিনিময়ে এবং পাহাড়িদের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান সাপেক্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করা হয়। এতে পাহাড়ি ও বাঙালি উভয় পক্ষই সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জানায় যে, এ নিয়ে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে আর কোনো ধরনের বিরোধ সৃষ্টি হবে না—মর্মে উপস্থিত সকলের সম্মুখে তারা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ সময় উভয় পক্ষের পক্ষ থেকে যে দুটি মামলা করা হয়েছিল, সে মামলাগুলোও উভয় পক্ষ আপোষ করার অঙ্গীকার প্রদান করেন।

রাজনগর জোন কমান্ডার বলেন, সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি বিজিবি সবসময় পার্বত্য এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিজিবি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহাবস্থানের মাধ্যমে যে কোনো বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে মিমাংসা সম্ভব এবং বিজিবি সেই লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।