ঢাকা | সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ - ৩:৩৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের টেন্ডার বক্স দখলের অভিযোগ

  • আপডেট: Wednesday, February 14, 2024 - 12:15 pm
এম আর আমিন : রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান কার্যালয় টেন্ডার বক্স দখল করে জোড়পূর্বক পছন্দের লোকদেরকে টেন্ডার পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। র‌্যাব ও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে টেন্ডার জমা দিতে বাঁধা প্রদান ও টেন্ডার ডকুমেন্টস ছিনিয়ে নিয়ে প্রতিনিধিকে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠেছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তার দপ্তরে এমন ঘটনা ঘটেছে। সিআরবিতে এবার কোন বহিরাগত সন্ত্রাসী নয়, খোদ ওই অফিসের কর্মচারি কথিত শ্রমিক নেতা শেখ জামাল আহমেদের নেতৃত্বে এমন অরাজকতা চলছে বলে লিখিত অভিযোগ করেছেন একাধিক ঠিকাদার।গত ১২ ফেব্রুয়ারি এসব বিষয় উল্লেখ করে, টেন্ডার বাতিল ও রিটেন্ডার চেয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কারাবি কর্পোরেশন, আর এস কর্পোরেশন, এস এ কর্পোরেশন ও তারিকুল ইসলাম তালুকদার প্রোপাইটার মেসার্স মর্ডান টেডার্স এ অভিযোগ তুলেছেন। এ নিয়ে এফএএন্ডসিএও বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ”আহবানকৃত দরপত্র নং- আরসি/আউটসোর্সিং/২৩-২৪/এসআর(আরই) তারিখ  ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ এর সকল শর্ত অনুসরণ পূর্বক দরপত্র দাখিল করতে আমাদের প্রতিনিধি মুহাম্মদ মামুন সকাল ০৯টা ৪৫ মিনেটে আপনার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়। এর পরবর্তীতে কার্যালয়ের সামনে দরপত্র দাখিলের আগ মুহুর্তে কার্যালয়ের কর্মচারী শেখ জামাল আহম্মদ এর প্রত্যক্ষ মদদে কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি আমাদের প্রতিনিধিকে সেখান থেকে অন্যত্রে নিয়ে গিয়ে তাহার থেকে দরপত্র ছিনিয়ে নেয়। যার ফলশ্রুতিতে আমরা অন্য স্থানেও দরপত্র দাখিল করতে ব্যর্থ হই। ফলে দরপত্র বাতিল করে পিপি এর নিয়ম অনুযায়ী পূণঃ দরপত্র আহবান করে এবং আপনার অধীনস্থ কর্মচারী শেখ জামাল এর বিরুদ্দে দাপ্তরিক ব্যবস্থা নেওয়ার সাথে সাথে আপনার কার্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করার অনুরোধ করছি।মডার্ন ট্রেডার্সের অভিযোগে বলা হয়েছে, টেন্ডার জমা দেয়ার জন্য নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হলে কতিপয় দুস্কুতিকারিরা তার টেন্ডার ডকুমেন্টস ছিনিয়ে নেয় ফলে তিনিও দাখিল করতে ব্যর্থ হন।একইভাবে মেসার্স করবী কর্পোরেশনের লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, জাফর উল্লাহ নামের প্রতিনিধি দরপত্র দাখিল করতে গেলে কার্যালয়ের কর্মচারী শেখ জামাল আহম্মদের মদদে কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি দরপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং দরপত্র দাখিলের সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত জিম্মি করে রাখে।এবিষয়ে জানতে , রেলওয়ে পূবাঞ্চলের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা মো. রফিকুল বারী খান এবং অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও  প্রধান হিসাব অধিকর্তা ও টেন্ডার কমিটির আহবায়ক মো. সাইদুর রহমান সরকারের সাথে কথা বলতে অফিসে গেলেও তারা কথা বলতে রাজি হননি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে,শেখ জামাল বলেন, সকল অভিযোগ মিথ্যা সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। অভিযোগকারীদের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিগুলো আমার অপরিচিত।