রাস্তা খুঁড়ে উধাও ঠিকাদার, চরম বিপাকে সাত গ্রামের মানুষ
কালীগঞ্জ সংবাদদাতা।। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্মাণাধীন একটি সড়কে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালিতে সাত গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। নতুন রাস্তা নির্মাণের জন্য এক বছর আগে রাস্তা খুঁড়ে কাজ বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ঠিকাদারের এমন হেয়ালিপনায় চরম বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ ।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সিংগী বাজার থেকে মঙ্গলপৌতা বাজার পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণের জন্য পুরাতন রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে। রাস্তা খুঁড়ে রাখার কারণে অনেক স্থানে গেল বর্ষা মৌসুমে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় এক বছর আগে খুঁড়ে রাখা রাস্তার কারণে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে ইউনিয়ন পরিষদ সেবা, ভূমি অফিস সেবা , ইউনিয়নের একমাত্র সরকারি ব্যাংক এবং একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে আসছেন কয়েক হাজার মানুষ। রাসতা খুঁড়ে রাখার কারণে গ্রামগুলোতে জরুরি সেবার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও প্রবেশ করতে পারছে না।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তিন কোটি ৭৯ লাখ টাকার দুই হাজার ৯৯০ মিটার রাস্তাটির কাজ পায় মেসার্স মিজানুর রহমান নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের জুন মাসে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে চলতি বছরের প্রথম দিকে। প্রায় এক বছর খুঁড়ে রাখা রাস্তার আর কাজ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ ব্যাপারে মেগুরখির্দ্দা গ্রামের বাসিন্দা আরিফ হাসান বলেন, এক বছর আগে রাস্তা খুঁড়ে ফেলে রাখা হয়েছে। খুঁড়ে রাখা রাস্তার কারণে আমাদের গ্রামে বড় কোনো গাড়িও প্রবেশ করতে পারছে না। অথচ এখন পর্যন্ত কাজ হলো না, এটা কেমন কথা? আমরা দ্রুত এর প্রতিকার চাই।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিজানুর রহমান এর সত্বাধিকারী মো. রানা বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় কাজটি করতে পারিনি। নতুন ইট এলে কাজ শুরু করব।
কালীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সৈয়দ শাহরিয়ার আকাশ বলেন, বারবার চিঠি পাঠিয়েও কোনো সদুত্তর পাইনি। তিনি (ঠিকাদার) এমন করলে কী করব বলেন!
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, ঘটনাটি আমি আপনার কাছে থেকে প্রথম শুনলাম। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।










