রাঙামাটিতে সহিংস অবরোধের ডাকে সাড়া দেয়নি কেউ

রাঙামাটি প্রতিনিধি।
খাগড়াছড়ির জেলা সদরে এক মারমা কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তিন পার্বত্য জেলা—রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অনির্দিষ্টকালের সহিংস সড়ক অবরোধে রাঙামাটিতে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী দূরপাল্লার সব যানবাহন স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে গেছে। রাঙামাটি শহরের প্রধান যাতায়াত মাধ্যম অটোরিকশা (সিএনজি) চলাচল করতে দেখা গেছে, দোকানপাটও খোলা রয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, রাঙামাটির কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিকে রবিবার থেকেই জেলা প্রশাসন শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে উদ্যোগ নিয়েছে। বিভিন্ন সম্প্রদায়, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, রাঙামাটিতে অবরোধের কোনো প্রভাব পড়েনি। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি জোরদার করা হয়েছে এবং যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সিঙ্গিনালা এলাকায় প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে অষ্টম শ্রেণির এক মারমা কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ শয়ন শীল নামে এক হিন্দু যুবককে আটক করে। বর্তমানে তিনি আদালতের নির্দেশে ছয় দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।