রাঙামাটিতে জেলা পরিষদের শিক্ষক নিয়োগে কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদে দু’দিনের হরতালের ডাক
রাঙামাটি প্রতিনিধি।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বৈষম্যের অভিযোগ তুলে দু’দিনব্যাপী হরতালের ঘোষণা দিয়েছে কোটাবিরোধী ঐক্যজোট, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সড়ক ও নৌপথে শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনের এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে জেলা শহরের একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলেন, জরুরি সেবাসমূহ হরতালের আওতার বাইরে থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, জেলা পরিষদের অধীনে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বৈষম্য করা হয়েছে এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ কোটা-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে জেলা পরিষদের নিজস্ব আইন অনুসারে ২১ নভেম্বর পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। যা প্রচলিত আইন, সংবিধান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষিত নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক।
বক্তারা আরও জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ৭% কোটা এবং ৯৩% মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের কথা বলা হলেও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার এ নির্দেশনা মানতে অনীহা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জেলা পরিষদ কোনো মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন নয়, নিজস্ব আইনে পরিচালিত হবে।
সংগঠনটির নেতারা অভিযোগ করেন, দেশব্যাপী কোটা সংস্কার করা হলেও পার্বত্য জেলার হস্তান্তরিত বিভাগে এখনো ৭০% উপজাতি কোটা বহাল রয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও ঘুষ–বাণিজ্যেরও অভিযোগ তোলেন তারা। প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদ ও কোটা বরাদ্দ স্পষ্ট করে না উল্লেখ করাকে নিয়মবহির্ভূত বলেও দাবি করেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত কোটা পদ্ধতিতে সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সরাসরি নিয়োগে ৯৩% মেধাভিত্তিক, ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ১% প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য কোটা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সেই পদ সাধারণ মেধা তালিকা থেকে পূরণের নির্দেশনাও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সদস্য মো. রাকিব হাসান, মো. নুরুল আলম, ইব্রাহিম রুবেল, মো. জনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।











