রংপুরে কয়েদির লাঠির আঘাতে কয়েদির মৃত্যু, কারাগারে থমথমে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
রংপুর থেকে রাসেল।। রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রফিকুল নামের এক কয়েদির লাঠির আঘাতে বাহারুল বাদশা নামের আরেক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া কারারক্ষীদের সঙ্গে কয়েদিদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবার বুলেট, ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়া হয়। সেখানে অবস্থান নিয়েছেন, পুলিশ, র্যাব ও সেনাসদস্যরা।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাহারাম ও রফিকুলের মধ্যে গাছ থেকে আমড়া পাড়াকে কেন্দ্র করে মারামারি ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বাহারাম গুরুতর আহত হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। দুপুরে বাহারামের মৃত্যুর খবর কারাগারে ছড়িয়ে পড়লে কয়েদিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় বাহারামের অপর তিন ভাইসহ অন্য কয়েদিরা বিক্ষোভ শুরু করে কারা ফটকে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে রফিকুলের পক্ষের কয়েদিদের সঙ্গে বাহারামের ভাইসহ তাদের পক্ষের কয়েদিদের হাতাহাতি শুরু হয়।
বাহারামের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কারাগারের ভেতরে বিশৃঙ্খলার সুযোগ নেন অন্য কয়েদিরা। প্রথমে কারারক্ষীদের সঙ্গে কয়েদিদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় কারারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ডাকা হলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান জানান, সকাল সোয়া ৮টার পর কারাগারের ভেতরে গাছ থেকে আমড়া পেড়ে খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রফিকুল ও বাহারুল নামের দুই কয়েদির মধ্যে ঝগড়া হয়। বিবাদের একপর্যায়ে রফিকুল বাহারুলকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। কারাগারের নার্স এসে বাহারুলের শরীরের পালস পাচ্ছিলেন না। তাকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, কারাগারের অভ্যন্তরে ও বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় শাহজাহান ও মোতালেব নামের দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।