স্থানীয় বাসিন্দা সুরজিৎ মন্ডল ও মনির শিকদার বলেন, সিজারের নামে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ‘যার কাছ থেকে যা পারে’ আদায় করা হয়। ডাক্তার সব সময় থাকেন না, প্যাথলজি রিপোর্টে ভুল হয়, ওষুধ বিক্রি হয় ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই। এসব নিয়ে প্রায়ই রোগী-স্বজনদের সঙ্গে হট্টগোল লেগে থাকে।
অভিযোগ উঠেছে, ক্লিনিকের প্রকৃত নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গীর আলম। আগে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় ব্যবসা চালাতেন। ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক দল বদলে নতুন পৃষ্ঠপোষকদের আশ্রয়ে একই অনিয়ম অব্যাহত রেখেছেন বলে স্থানীয়দের দাবি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার সুমি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন বলেন, রাতুল ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন নেই, নেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চুক্তিও, নেই নারকোটিক পারমিশন ও ড্রাগ লাইসেন্স। এসব অনিময়ের মধ্যদিয়ে দীর্ঘদিন এ ক্লিনিকটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এসব কাগজপত্র আপডেট করার জন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট এ সময়ের মধ্যে কাগজপত্রের শর্তাদি পূরণে ব্যর্থ হলে রাতুল ক্লিনিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে সেবার মূল্য তালিকা টানানোর নির্দেশনা দেয়া হয়ছে।
উপজেলা প্রশাসন আরো বলেন, মোংলায় অবৈধ ও অনিয়মে চলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।