ঢাকা | সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪ - ৩:২৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম

মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যালসের চেক প্রতারণার অভিযোগে মানববন্ধন

  • আপডেট: Tuesday, November 21, 2023 - 2:36 pm

এইচ এম সাগর, সাভার : চাকুরী দেয়ার সময় ব্ল্যাংক চেক গ্রহন করে পরবর্তীতে সেই চেক দিয়ে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ভুক্তভোগীরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ঔষদ প্রশাসন অধিদপ্তরসহ সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করে মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তিসহ প্রতারক মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃপক্ষের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন। মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর দুপুরে সাভারের পাকিজা এলাকায় সবুজ আন্দোলন সাভার শাখার সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন ভুক্তভোগীরা। আয়োজিত মানবন্ধন থেকে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিবছর জানুয়ারিতে বেশী বেতনে চাকুরির লোভ দেখিয়ে সারা বাংলাদেশ থেকে পাঁচ শতাধিক লোক সংগ্রহন করে। চাকুরি দেয়ার সময় সিকিউরিটি হিসেবে চাকুরি প্রার্থীদের কাছ থেকে ব্ল্যাংক চেক জমা নেয়। পরবর্তীতে চাকুরিরত অবস্থায় বিভিন্ন অযৌক্তিক অযুহাত দেখিয়ে বেতন-ভাতা পরিশোধ না করেই পর্যায়ক্রমে সকলকে চাকুরিচ্যুত করলেও কাউকে জমা নেয়া ব্ল্যাংক চেক ফেরত দেয়না। এমনকি রিজাইন লেটারও গ্রহন করেনা। পরের বছর একইভাবে আবারও লোক নিয়োগ দেয় এবং আগের ছাটাকৃতদের কাছ থেকে জমা নেয়া চেকের বিপরীতে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন। এটাই তাদের মূল ব্যবসা। ভুক্তভোগী আব্দুল আজিজ বলেন, আমি ব্ল্যাংক চেক জমা দিয়ে ১ বছর চাকুরি করার পর আমাকে কোন বেতন-ভাতা না দিয়ে চাকুরীচ্যুত করে মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা আমার চেকও ফেরত দেয়নি, রিজাইন লেটার গ্রহন করেনি। উল্টো আমার কাছে টাকা পাওনা দাবি করে আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। মূলত ব্ল্যাংক চেক নিয়ে প্রতারনা করাই কোম্পানিটির মূল ব্যবসা। ভুক্তভোগী আল-মামুন বলেন, আমি নারায়নগঞ্জের এরিয়া ম্যানেজার ছিলাম। আমাদের কোন সেল নাই। মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যালস মূলত মিটফোর্ডে আন্ডাররেটে ব্যবসা করে। গ্রামের সহজ সরল লোকদেরকে প্রতি বছর ভূয়া নিয়োগ দিয়ে তাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিটি খেলে। সাধারন মানুষকে মামলা দিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে সর্বশান্ত করা এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উপযুক্ত বিচার চাই। আমাদের মতো আর কোন লোক যেন মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রতারনা শিকার না হয় সেজন্য প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করে প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। এরিয়া ম্যানেজার মোঃ সেলিম অভিযোগ করেন, আমার আন্ডারে ৭ জন লোক কাজ করতো। আমরা যে ঔষুধ দোকানে দুই’শ টাকায় বিক্রী করতাম কোম্পানি সেই ঔষুধ মিঠফোর্ডে ৯০ টাকায় বিক্রী করে। যে কারনে আমাদের কাছ থেকে পরে আর কেউ মাল নিতোনা এবং আমাদের সেল টার্গেট পুরন হতোনা। এখন আমার বিরুদ্ধে ৭ লাখ টাকার চেক ডিজঅনার মামলা দিয়েছে। আমিতো কোম্পানি থেকে কোন বেতন পাইনি, উল্টো মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এখন বাপের জমিও নাই বিক্রী করে তাদের প্রতারনার টাকা পরিশোধ করবো। তাই সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতারক মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যালস এর বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তিনি। কোম্পানিটির প্রতারনা বিষয়ে জানতে তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে দেখা যায় মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যালস এর হেডকোয়াটার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় এবং কারখানা বরিশালের রুপাতলিতে। কিন্তু তাদের যোগাযোগের জন্য দেয়া মোবাইল নাম্বারগুলোতে ফোন করা হলে সবগুলোই বন্ধ পাওয়ায় কারও সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।