মিরসরাই প্রতিনিধি: এ.এইচ. সেলিম।।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের করেরহাট ইউনিয়নের সরকারতালুক গ্রামের শতাধিক পরিবার প্রায় ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি। সামান্য বৃষ্টিতে বসতঘরে পানি উঠে যায়। যাতায়াতের একমাত্র সড়কটিও পানিতে নিমজ্জিত। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৃষ্টির এমন জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ফলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার মানুষদের।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারতালুক গ্রামের পানি নিষ্কাশনের জন্য যে খাল রয়েছে সেগুলো দখল ও দূষণে আক্রান্ত। বারইয়ারহাট টু রামগড় সড়ক প্রশস্থকরণের কাজের জন্য সড়ক উঁচু করতে হচ্ছে। সরকারতালুক গ্রামের উত্তর পাশে বারইয়ারহাট টু রামগড় সড়কের একটি কালভার্ট ছিল দীর্ঘদিন। কিন্তু প্রশস্থকরণ নকশায় ওই কালভার্ট না থাকায় সেটি নির্মাণ করা হয়নি।
করেরহাট বাজারের মাঝখান দিয়ে আরেকটি সেতু আছে, যেটা দিয়ে ওই গ্রামের পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু এটিরও দুপাশ ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। ফলে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই।
সরেজমিন দেখা গেছে, কারও কারও থাকার ঘরে হাঁটুসমান পানি। কারও চুলায় পানি, আবার কারও টিউবওয়েল নিমজ্জিত পানিতে। মনে হচ্ছে পুরো গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আগে এখানে যতক্ষণ বৃষ্টি হতো ততক্ষণ পানি থাকতো। এরপর স্বাভাবিক হয়ে যেতো। এবার পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় গত ১৫ দিন ধরে পানি আটকে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আমার মতো অনেক পরিবারের কষ্টের শেষ নেই।’
আকলিমা নামের এক গৃহবধূ বলেন, ‘রান্নাঘরে পানি জমে থাকায় ঠিকমতো রান্নাবান্নাও করা যাচ্ছে না। হাঁটুপানি মাড়িয়ে আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে। আর কতদিন এভাবে কষ্ট করবো বুঝতে পারছি না।’
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, দুর্ভোগের কথা শুনে আমি সরেজমিনে ছুটে গেছি। তাৎক্ষণিকভাবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ড্রেনের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলা হবে।