ঢাকা | ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ - ৪:৩৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

মিরসরাইয়ের ১২০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ

  • আপডেট: Sunday, December 7, 2025 - 6:50 pm

মিরসরাই প্রতিনিধি।

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় এবার ১২০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাকসবজি চাষ করা হয়েছে। মাঠে এখন সবুজের সমারোহ। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় শীতকালীন সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন কৃষিজমিতে ৬৬০ হেক্টর শিম, ৫০ হেক্টর জমিতে লাল শাক, ৬৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া, ৯০ হেক্টর জমিতে লাউ, পালং শাক, মুলা শাক, বেগুন, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বরবটিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির চারা রোপণ করা হয়েছে। বেশি সবজি চাষ হয় দুর্গাপুর, খৈয়াছড়া ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নে।

সরেজমিনে জানা গেছে, রবি মৌসুমের শীতকালীন সবজি নিয়ে কৃষকদের বিভিন্ন কর্মব্যস্ততা দেখা গেছে। কেউ ক্ষেতে সবজি তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কীটনাশক স্প্রে করছেন। কেউবা জমির আগাছা পরিষ্কার করছেন। ওয়াহেদপুর, খৈয়াছড়া, আমবাড়িয়া, দুর্গাপুর, আজমনগরসহ বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে এখন মুলা, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বরবটি, লাউ, মরিচ, টমেটো চাষ চলছে। সকাল–সন্ধ্যা সবজিতে পরিচর্যা করছেন। আবার অনেকেই আগাম সবজি মাঠ থেকে তুলে বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন।

আজমনগর এলাকার কৃষক জানে আলম বলেন, ‘এ বছর অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ৪০ শতক জমিতে আগাম খিরা চাষ করেছি। আমার প্রায় ৩২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার টাকার খিরা বিক্রি করেছি। আরও প্রায় ১ মাস বিক্রি করা যাবে। সব মিলিয়ে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো।’

ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর গ্রামের কৃষক সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘এবার লাউ আর লাল শাক চাষ করেছি। সেগুলো প্রায় বিক্রি শেষ হয়েছে। দামও ভালো পেয়েছি। কিছু জমিতে বরবটি চাষ করেছি। সেগুলোর মেরামত চলছে। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।’

খৈয়াছড়া ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী মোহাম্মদ শাহাজান বলেন, ‘আমার এরিয়ার প্রায় সব কৃষক আমন ধান চাষের পাশাপাশি শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন। অনেকে আগাম খিরা চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। এখানে প্রায় অর্ধশত কৃষক আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করে থাকেন।’

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ১২০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে। কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সব সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এখনো এখানকার সবজি পুরোপুরি বাজারে আসেনি। আবহাওয়া অনুকূলে ও বাজার দর ভালো থাকলে শীতকালীন সবজি…’