নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক ও গতিশীল করতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শীঘ্রই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৪০টি সড়ক নির্মাণের টেন্ডার আহ্বান করা হবে। পাশাপাশি চালু করা হবে মনোরেল এবং আধুনিক ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।”

রোববার দুপুরে নগরীর ৮নং শুলকবহর ওয়ার্ডের মীর্জাপুল সড়কের পাশে আবদুল হামিদ সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

মেয়র জানান, শুলকবহর ওয়ার্ডে ১৫টি উপ-প্রকল্পের আওতায় মোট ৭৮ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে। এর মধ্যে ৩৫ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে, ২৭ কোটি টাকার কাজ চলমান এবং বাকি ১৬ কোটি টাকার তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “আজ উদ্বোধনকৃত আবদুল হামিদ সড়ক, শহীদ জানে আলম রোড, তফাজ্জল চৌধুরী বাড়ি রোড ও শান্তিধারা আবাসিক এলাকার সড়কসহ একাধিক সড়কের উন্নয়ন কাজে প্রায় ৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ যেন এসব উন্নয়ন কাজে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন—এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তার মান যেন নষ্ট না হয়, কেউ যেন অনিয়ম না করতে পারে, সেদিকে এলাকাবাসীকেও নজর রাখতে হবে।”

মেয়র বলেন, “বর্ষাকালের দীর্ঘস্থায়িত্বের কারণে কিছু প্রকল্প বিলম্বিত হয়েছিল। এখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। চট্টগ্রামের প্রায় ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের উন্নয়ন কাজ ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন বা সম্পন্ন হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নগরীর চেহারা আমূল পরিবর্তিত হবে।”

তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের সতর্ক করে বলেন, “মানসম্মত ও টেকসই সড়ক নির্মাণে কোনো ধরনের কারচুপি সহ্য করা হবে না। কাজের মান রক্ষা করা সবার নৈতিক দায়িত্ব। জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীরও তদারকির দায়িত্ব নিতে হবে।”

পরিবেশ সচেতনতার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, “আমরা পাহাড় কাটবো না, যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবো না, নালা ও খাল পরিষ্কার রাখবো। পরিচ্ছন্ন শহরই জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ দূষণমুক্ত নগর গড়ার পথ প্রশস্ত করবে। পরিকল্পিত, সুশৃঙ্খল ও পরিবেশবান্ধব চট্টগ্রাম গড়তে নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফ চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক কাজী বেলাল উদ্দিন, সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য জাকির হোসেন, ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কাজী শামসুল ইসলাম ও সদস্য সচিব হাসান উসমান চৌধুরীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।