ঢাকা | জানুয়ারী ২০, ২০২৫ - ৯:৫৩ অপরাহ্ন

মধ্য রাতে জাবি ছাত্রীর হল রুম থেকে যুবক আটক 

  • আপডেট: Sunday, January 19, 2025 - 4:30 am

জাবি প্রতিনিধি।। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মেয়েদের আবাসিক হল থেকে আশরাফুল ইসলাম পারভেজ (৩১) ওরফে যাযাবর পারভেজ নামের এক বহিরাগত যুবককে আটক করেছে হল কর্তৃপক্ষ। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের একটি কক্ষ থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

অভিযুক্ত ওই যুবক জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৫২ ব্যাচের এক ছাত্রীর সহযোগিতায় তিনি হলে প্রবেশ করেছেন।

আটক আশরাফুল ইসলাম পারভেজ চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ডবলমুরিং থানার বাসিন্দা। তিনি ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেন বলে জানিয়েছেন। তবে তাঁর সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানা যায়নি।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত ১০টার দিকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে কপালে টিপ পরে, ঘোমটা দিয়ে হলে প্রবেশ করে ওই যুবক। এ সময় পোশাক ও হাঁটা দেখে আশপাশের শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। পরে তাঁরা হল সুপারকে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে বলেন। সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে হল সুপারসহ ওই নারী শিক্ষার্থীর কক্ষে যান হলের শিক্ষার্থীরা। সেখানে গিয়ে তাঁরা পারভেজকে দেখতে পান। এরপর পারভেজকে প্রভোস্ট ও প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে পুলিশে দেওয়া হয়।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে আটক পারভেজকে শাড়ি ও টিপ পরিয়ে দেয় হলের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া মেয়েদের হলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় এবং এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তাৎক্ষণিক মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

ঘটনা স্বীকার করে অভিযুক্ত পারভেজ বলেন, ‘আমি হিম উৎসবে বেড়াতে এসেছি। অনুষ্ঠান দেখা শেষ করে কপালে টিপ পরে মুখ ও শরীর চাদরে মুড়িয়ে হলে প্রবেশ করি। আমরা শুধুই ভালো বন্ধু।’

অভিযুক্ত নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাতে থাকার জায়গা না থাকায় তাকে হলে নিয়ে এসেছি। তবে আমরা কেউ আপত্তিকর অবস্থায় ছিলাম না।’

নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের হল সুপার নাদিয়া সুলতানা বলেন, ‘হলের মেয়েরা ওই ছাত্রীর রুমে সেই পুরুষের উপস্থিতি বুঝতে পেরে আমাকে জানালে তৎক্ষণাৎ আমি হলের খালাকে সঙ্গে নিয়ে রুমে যাই। দরজা খোলার পর আমি তাকে খাটের ওপর বসে থাকতে দেখি। তৎক্ষণাৎ আমি বিষয়টি হল প্রভোস্টকে জানাই।’

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমি সেখানে উপস্থিত হয়েছি। অভিযুক্তদের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হল কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রক্টরিয়াল টিমকে সেখানে পাঠাই। এরপর আটক ছেলেকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।’