ঢাকা | ডিসেম্বর ২, ২০২৫ - ১০:৩৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম

বারি লাউ–৪ চাষে সফলতা পেল রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র

  • আপডেট: Tuesday, December 2, 2025 - 4:22 pm

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি:

কৃষকের বাতিঘর হিসাবে পরিচিত রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষিতে অনন্য ভূমিকা রেখে আসছে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গবেষণা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে ২১টি সবজি এবং ফলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষি সেক্টরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বারি লাউ–৪ জাতের একটি সবজি পাহাড়ি অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এর প্রজনন বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকের দোরগোড়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছেন এখানকার কৃষি বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর হতে গবেষণা কেন্দ্রের ১ একর জায়গাজুড়ে এর চাষ করে সফলতা পাওয়া গেছে। বীজ বপনের ৭০ দিনের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফলন ধরেছে। গবেষণা কেন্দ্রে সারি সারি লাউগাছে লাউ ঝুলে আছে।

 

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় এই কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, বারি লাউ–৪ জাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাপ সহনশীল এবং সারা বছর চাষ করা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে চাষের জন্য উপযোগী একটি জাত। গাঢ় সবুজ রঙের ফলের গায়ে সাদাটে দাগ থাকে। গাছপ্রতি ১০–১২টি ফল পাওয়া যায় এবং ফলের গড় ওজন ২.৫ কেজি। ফল লম্বায় ৪২–৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যাস ১২–১৩ সেন্টিমিটার। চারা রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়। জীবনকাল ১৩০ থেকে ১৫০ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন হয় ৮০ থেকে ৮৫ টন। জাতটি তাপ সহিষ্ণু হওয়ায় গ্রীষ্মকালে চাষ করে কৃষক লাভবান হতে পারে। বাংলাদেশের সব এলাকায় এ জাতটি চাষ করা যায়। গ্রীষ্মকালে চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।

 

এ সময় কথা হয় রাইখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক পাইদো অং মারমার সাথে। তিনি বলেন, গত অক্টোবর মাসে আমি এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারি লাউ–৪ এর বীজ ও সার নিই। তাঁরা আমাকে বিনামূল্যে এগুলো দেন। এক বিঘা জমিতে আমি এর চাষ করি। বর্তমানে চারাগুলো অনেক বড় হয়েছে। আশা করি ভালো ফলন হবে।