বান্দরবান জেলায় সব ইটভাটা এখন বন্ধ
কামাল পারভেজ, বান্দরবান থেকে ফিরে।। বান্দরবান পুরো জেলায় ৬০ টির মতো ইটভাটা রয়েছে, তার মধ্যে লামা উপজেলায় ৪০ টির মতো ইটভাটা, বান্দরবান সদরে ৫ টি আর অন্যান্য উপজেলা ১৫ টির মতো ইটভাটা চলমান ছিলো। অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত, ৫ মাস হলো ইট তৈরির সিজন বলা হয়। প্রতি বছর অক্টোবর মাস থেকে ইটভাটার কার্যক্রম শুরু হয়, কিন্তু ২৩ সালে ইটভাটার কার্যক্রম নিবু নিবু হয়ে পড়ে। অনেক ইটভাটার মালিকরা ইট তৈরির জন্য শ্রমিক নিয়ে আসেন ধীরে ধীরে ইটভাটার কার্যক্রম শুরু করবে বলে আশাবাদী ছিলো, কিন্তু আবারও মাঝপথে আঁটকে দিলো উচ্চ আদালতে রিট। হতাশ হয়ে পড়লো ইটভাটার মালিকরা। পাহাড় কাঁটা ও পরিবেশ ধ্বংসর দায়ে “হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ” সংস্থার সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ উচ্চ আদালতে রিট করেন। নড়েচড়ে বসেন স্হানীয় প্রশাসন। জেলা প্রশাসক সহ ২০ ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়েও শোকজ করা হয়। কঠিন থেকে কঠিনতম হয়ে পড়ে। এদিকে ইটভাটার মালিকরা বারবার চেষ্টা করেও ইটভাটার কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। জেলা প্রশাসকও শক্ত অবস্থান গিয়ে সব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের আদেশ দিয়ে ডিসেম্বর মাসেও কয়েকবার অভিযান চালিয়ে ইটভাটা গুরিয়া দেয়। বর্তমানে কোনো ইটভাটার চিন্মীতে আগুনের ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে না, জলছেনা লেলিহান আগুন। নতুন যারা ইটভাটা তৈরি করতে যাচ্ছিলো তারা এখন মাঠে মরা বলছে। অনেক ইটভাটায় কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে কিন্তু কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বলে অনেক মালিকরা বলছেন। বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. ফখর উদ্দীন চৌধুরী বলেন আমরা অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছি এবং চলমান থাকবে, যেহেতু উচ্চ আদালতে রিট রয়েছে আদালতে আদেশ মান্য করাই আমাদের কাজ।