বান্দরবানে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি: অভিভাবকদের চাপে ৩য় প্রান্তিক মূল্যায়ন শুরু
মিনহাজুল ইসলাম।
দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় বান্দরবান শহর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের কাছে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান। পরে প্রধান শিক্ষক অভিভাবকদের সহযোগিতায় পরীক্ষা কার্যক্রম চালু করেন। এ সময় জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “পুরো বছর পড়াশোনা করার পর শিক্ষার্থীরা বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেদের মূল্যায়নের সুযোগ পায়। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ ধরনের আন্দোলন মেনে নেওয়া যায় না। আমরা প্রধান শিক্ষককে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে পরীক্ষার দাবি জানিয়েছি।”
প্রধান শিক্ষক জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক। তিনি বলেন, “সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে থাকলেও অভিভাবকদের সহযোগিতায় আমরা পরীক্ষা নিচ্ছি, যাতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।”
একজন সহকারী শিক্ষক জানান, তাদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস বহুবার মিললেও এখনো কোনো সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। তিনি বলেন, “প্রজ্ঞাপন জারি হলেই আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসবো।”
কর্মবিরতির কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থার দ্রুত সমাধানে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ কামনা করেছেন অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহল।
উল্লেখ্য, শহর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম চললেও বান্দরবান শহরের অন্যান্য বিদ্যালয়ে পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থগিত ছিল।











