নিজস্ব প্রতিবেদক।। অমর একুশে বই মেলায় প্রথমবারেরমত এসেই সাড়া জাগিয়েছে সাংবাদিক এ এইচ এম ফারুক-এর “মেরুকরণের রাজনীতি: শাহবাগ-শাপলা বিতর্ক” শীরোনামের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক বইটি। অপরাধ বিষয়ক বিটের সিনিয়র এ সাংবাদিকের বইটিতে দেশের রাজনীতির নানা মেরুকরণ উঠে এসেছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ ডান-বাম দুই শিবিরের তর্কিত-বিতর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণাত্বক আলোচনা উঠে এসেছে। দেশের রাজনৈতিক সংকট, সংবিধান সংস্কার, সংশোধন এবং বিতর্ক ছাড়াও বিদগ্ধজনদের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা তথ্য তুলে এনেছেন দুই যুগের বেশি মাঠে কাজ করা অপরাধ বিষয়ক বিটের সিনিয়র সাংবাদিক এ এইচ এম ফারুক। প্রচ্ছদ করেছেন- মো. পিয়াল হোসেন।
দেশবরেণ্য ২৫ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিভিন্ন ইস্যুতে চুলচেরা বিশ্লেষণের ইন্টারভিউ ভিত্তিক ৩১২ পৃষ্ঠার বইটি প্রথমবারের মতো এসেছে অমর একুশে বইমেলায়।বইটির মুদ্রিত মূল্য ৬০০ টাকা। বই মেলা উপলক্ষে ২৫-৩০% বিশেষ ছাড়ে ৪০০-৪৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে আল হামরা প্রকাশনীতে (উদ্যানের স্টল নং ৬৯৩-৯৪)।
যারা শাহবাগ-শাপলা বিতর্কসহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট ও প্রেক্ষাপট নিয়ে গভীরভাবে জানতে চান, তাদের জন্য এই বই হতে পারে অপরিহার্য এক সংগ্রহ।
বইটিতে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে আছে চুল চেরা বিশ্লেষণ। তেমনি শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ এবং বিপরীতে মতিঝিল শাপলাচত্ত্বরে হেফাজতে ইসলামের অবস্থান ঘিরে দুই শিবিরে দেশের ইতিহাসের যে মেরুকরণ তৈরি হয়েছিল সেসব বিষয়ে আলোচনা এসেছে।
এছাড়াও প্রশ্নের পর প্রশ্নের মাধ্যমে বাংলাদেশের এবং বৈশ্বিকভাবে ইসলামি রাজনীতি ও বাম রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে দুই শিবিরের বুদ্ধিজীবীদের সুন্দর মতামত তুলে আনা হয়েছে।
বাদ যায়নি প্রবিবেশী ভারত-মিয়ানমারের সাথে সম্পর্ক এবং দেশের আলোচিত ও রহস্যে ঘেরা পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রসঙ্গও। এ অঞ্চল নিয়ে আমাদের কৌতুহলের শেষ নেই। নানা তর্ক-বিরোধ চলছেই। মনে উদয় হয়েছে বিভিন্ন প্রশ্ন। সেসব জিজ্ঞাসিত অনেক প্রশ্নেরও জবাব মিলবে বইটিতে।
বইটিতে সাক্ষাৎকার স্থান পেয়েছে বিডিআরের সাবেক আলোচিত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ এল এম ফজলুর রহমান, কবি-প্রাবন্ধিক ও গবেষক কমরেড ফরহাদ মযহার, গণস্বাস্থের ট্রাস্টি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা (প্রয়াত) ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এম. শাহিদুজ্জামান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ইসলামি আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি ফয়জুল করিম, জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদের, ইতিহাসবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হেসেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ওয়াদুদ ভূইয়া, বাসদের প্রতিষ্ঠাতা কমরেড খালেকুজ্জামান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. তুহিন মালিক, রাজনৈতিক ভাষ্যকার হিসেবে পরিচিত সমাজবিজ্ঞানী (প্রয়াত) ড. পিয়াস করিম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ ইব্রাহিম বীর প্রতিক, বাসদ নেতা কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, আলোচিত সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রণি, নগর পরিকল্পনাবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন (প্রয়াত), সাবেক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী সুচিন্তা ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. আরাফাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন প্রমূখ।।