ফাসিয়াখালিতে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক।। বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হারগাজা এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আয়োজিত সদস্য সংগ্রহ ২০২৫ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। স্থানীয় জনগণ, নেতাকর্মী ও নতুন আগ্রহীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় একটি রাজনৈতিক মিলনমেলায়। কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল ইউনিয়ন পর্যায়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা, নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তি এবং পুরাতন সদস্যদের নবায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বান্দরবান জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাবেদ রেজা। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপি জনগণের দল, এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে সংগঠনকে পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ জরুরি। তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার বার্তা দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন তুষার। তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি পুনরায় শক্তিশালী করতে হলে ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসূচিগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে পারি।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সম্মানিত সদস্য ছরোয়ার জামাল, চনুমং মারমা, মাওসেতুং তঞ্চঙ্গ্যা, এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, আব্দুর রব, সাইফুদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তারা সবাই দলীয় ঐক্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জোর দেন। বক্তারা বলেন, বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি আন্দোলনের নাম—যেখানে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। হারগাজা ও আশপাশের এলাকা থেকে শতাধিক কর্মী ও সমর্থক মিছিল সহকারে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনেকেই বলেন, দীর্ঘদিন পর এমন একটি প্রাণবন্ত রাজনৈতিক আয়োজন আমাদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। কর্মসূচির শুরুতে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়, যা পুরো আয়োজনকে আরও বর্ণাঢ্য করে তোলে।
জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ জানান, এই কর্মসূচি শুধু হারগাজা এলাকায় সীমাবদ্ধ নয়। পর্যায়ক্রমে জেলার অন্যান্য ইউনিয়নেও সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশনায় ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিগুলোকে আরও সক্রিয় করা হবে এবং নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হবে।
এই কর্মসূচি বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায় থেকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নেতৃবৃন্দের ভাষায়, জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ও দলীয় কাঠামোকে শক্তিশালী করাই এখন সময়ের দাবি।