ফরিদপুরে বাসের পেছনে ট্রাকের ধাক্কায় দুইজন নিহত
ফরিদপুর প্রতিনিধি।। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তারাইল এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ভোর ৩টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গামুখী লেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী যমুনা লাইন পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে চলার সময় সামনের অজ্ঞাত একটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তেমন বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। এরপর বাসটি সড়কের পাশে থেমে যায় এবং যাত্রীরা নেমে এক্সপ্রেসওয়েতে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। ঠিক সে সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক দ্রুতগতিতে এসে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন যাত্রী ট্রাকচাপায় গুরুতর আহত হন।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান। নিহতরা হলেন—মাগুরার শালিখা উপজেলার ঘোষগাতি গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মিনহাজুর রহমান (২৪) এবং পাবনার বেড়া উপজেলার বনগ্রামের জুয়েল রানার স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন (৩০)।
আহতদের মধ্যে দুই বছরের শিশু জান্নাতুল ফেরদৌসকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বাকিদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানসিভ জুবায়ের বলেন, “নিহত দুইজনকে হাসপাতালে আনার আগেই তারা মারা যান।”
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, “দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বাসটি প্রথমে যে অজ্ঞাত গাড়িটিকে ধাক্কা দিয়েছিল, সেটি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে। ভোরের অল্প আলো এবং অতিরিক্ত গতিই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।”
স্থানীয়রা জানান, এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশে রাতে যানবাহনগুলোর গতি অনেক বেশি থাকে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ও গতি নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা মিলে উদ্ধার অভিযান চালায়। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।











