ঢাকা | ডিসেম্বর ৩, ২০২৫ - ৯:৪৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম

ফটিকছড়িতে ৯টি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর

  • আপডেট: Wednesday, December 3, 2025 - 8:41 pm

মু. আজিজ, ফটিকছড়ি

 

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় দিনব্যাপী ব্যাপক মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে ২২ লাখ টাকা জরিমানা আদায়সহ ৯টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ান-উল-ইসলাম।

 

পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন–২০১৩ (সংশোধিত–২০১৯) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন–১৯৯৫ (সংশোধিত–২০১০)–এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে ফটিকছড়ির বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

অভিযানকালে সব ইটভাটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে ফেলা এবং কাঁচা ইট ভেঙে ফেলা হয়।

 

পৌরসভা এলাকায় অবৈধভাবে স্থাপিত ভাটায় জ্বালানি কাঠ ব্যবহার ও পরিবেশ বিধি লঙ্ঘনের কারণে—বেলারের রিটের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে হারুয়ালছড়ির মেসার্স এনএস ব্রিকস (NS)–কে চিমনিসহ পুরো কিলন ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

 

এ ছাড়া জরিমানা করা হয়—

 

মেসার্স হালদা ব্রিকস (মালিক: মো. সাইফুদ্দীন) – ৪ লাখ টাকা

 

মেসার্স সিরাজ ব্রিকস (SBM) — মালিক: সিরাজুল ইসলাম – ৪ লাখ টাকা

 

মেসার্স আবুল কালাম ব্রিকস (KBM) — মালিক: মো. আইয়ুব – ৪ লাখ টাকা

 

মেসার্স এবিসি–১ ব্রিকস — মালিক: মো. মহিউদ্দীন – ৪ লাখ টাকা

 

মেসার্স এবিসি–২ ব্রিকস — মালিক: মো. আমিনুল হক – ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা

 

মেসার্স একতা ব্রিকস — মালিক: এস. এম. মহিউদ্দীন – ২ লাখ টাকা

 

শাহজালাল ব্রিকস (SBI) — মালিক: মো. মহিউদ্দীন – ১ লাখ টাকা

 

হাজী ইউনুচ ব্রিকস (YBM) — মালিক: মো. ইসমাইল হোসেন – ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা

 

 

মোট ৯টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

 

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন—পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মোজাহিদুর রহমান, রিসার্চ অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন, পরিদর্শক চন্দন বিশ্বাস এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কাজী ইফতেখার উদ্দিন।

 

এ ছাড়া অভিযানকে সফল করতে সহায়তা করে র‍্যাব–০৭ চট্টগ্রাম, আনসার বাহিনী, ফটিকছড়ি থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ফটিকছড়ি স্টেশন।

 

পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জনস্বার্থে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।