ঢাকা | সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪ - ৬:৫২ পূর্বাহ্ন

প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা অভ্যর্থনা দিলো নয়াদিল্লি

  • আপডেট: Friday, June 21, 2024 - 7:31 pm

জাগোজনতা ডেস্ক : দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২১ জুন) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটটি নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা৷ এ সময় লালগালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান পরিবেশনের মাধ্যমে বরণ করা হয় প্রধানমন্ত্রীকে।
এর আগে আজ দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

দুই সপ্তাহের কম ব্যবধানে ভারতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর এটি। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জোট এই মেয়াদে সরকার গঠনের পর কোনো সরকারপ্রধানের সঙ্গে এটিই প্রথম দ্বিপক্ষীয় আনুষ্ঠানিক সফর। সফরের শুরুতে আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে শনিবার (২২ জুন) দুদেশের প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গত তিন মেয়াদে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানাভাবে উপকৃত হয়েছে। এবারের বৈঠকে নির্ধারণ হতে পারে ২০২২ সালের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বাস্তবতা এবং আগামী ৫ বছরের রূপরেখা। তবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে সফরে চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও, এ বিষয়ে নিজেদের স্পষ্ট অবস্থান জানাতে পারে ভারত। আসতে পারে বড় ধরনের বিনিয়োগের খবরও।

তবে সরকারি পর্যায়ে ঠিক কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে তা এখনও জানা যায়নি। যদিও দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এবারের বৈঠক আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরত্ব পাচ্ছে।

হাসিনা-মোদির বৈঠকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভারসাম্যহীন বাণিজ্যিক সম্পর্কে কিছুটা স্থিতিশীলতার কৌশল বের হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট শতভাগ কার্যকরের সিদ্ধান্তও আসতে পারে।

সংশ্লিষ্টদের আশা, হাসিনা-মোদির বৈঠকে প্রতিবেশী দুদেশ ভবিষ্যতে নিজেদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে বেশকিছু পদক্ষেপ হাতে নেবে।
সফরের শেষ দিন বিকেলে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যা ৬টায় শেখ হাসিনা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন। রাত ৯টায় তিনি ঢাকায় অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।