ঢাকা | নভেম্বর ৯, ২০২৫ - ৬:৪৫ অপরাহ্ন

শিরোনাম

পার্বত্য চুক্তি করতে পেরেছি, তা বাস্তবায়নও করতে পারবো – ঊষাতন

  • আপডেট: Sunday, November 9, 2025 - 3:35 pm

মোঃ মহিউদ্দিন, বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি।

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ভাস্কর্য উন্মোচন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের শিজকমুখ এলাকার শিজক কলেজ সম্মুখে নবনির্মিত এম. এন. লারমার ভাস্কর্য উন্মোচন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে ভাস্কর্য নির্মাণ কমিটি ২০২৫।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বাঘাইছড়ি উপজেলার আঞ্চলিক কমিটির পরিচালক পুলক জ্যোতি চাকমার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ঊষাতন তালুকদার। প্রধান আলোচক ও ভাস্কর্য উন্মোচক ছিলেন এম. এন. লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি চিবরণ চাকমার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভাস্কর্য নির্মাণ কমিটির সদস্য সচিব ত্রিদীপ চাকমা (দীপ বাবু)। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দেব প্রসাদ দেওয়ান, শিজক কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষ দত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক শান্তনা চাকমা।

এছাড়াও বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার, হেডম্যান-কার্বারী, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, জনসংহতি সমিতির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

স্বাগত বক্তব্যে ত্রিদীপ চাকমা ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ ও ইতিহাস তুলে ধরেন এবং যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

বক্তারা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছাত্রজীবন থেকে কিভাবে সংসদ সদস্য হয়েছেন এবং জুম্ম জাতির মহান বিপ্লবী নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সে বিষয়ে আলোচনা করেন। এম. এন. লারমার জীবনী থেকে বর্তমান প্রজন্মকে শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানান এবং এম. এন. লারমার জীবন ও আদর্শ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য বাঘাইছড়িতে লাইব্রেরি নির্মাণসহ বিভিন্ন উদ্যোগে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সভার প্রধান অতিথি ঊষাতন তালুকদার বলেন, “জুম্ম জাতির অগ্রদূত এম. এন. লারমা একজন ত্যাগী নেতা ও জুম্ম জাতির পথপ্রদর্শক ছিলেন। তিনি দেখিয়ে দিয়ে গেছেন কিভাবে ন্যায়-সৎ পথে থেকে অধিকার আদায়ের কথা বলতে হয়। আজকে শিজক কলেজের মতো একটি পবিত্র শিক্ষা প্রাঙ্গণের পাশে আরেকটি পবিত্র স্থাপনা নির্মিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত, গর্বিত। এম. এন. লারমার মৃত্যু জুম্ম জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, যার জন্য আমরা অনেক বেশি পিছিয়ে গেছি। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, আমাদের সকলের উচিত ঐক্যের পথে চলা — যে ঐক্যের পথ দেখিয়েছেন এম. এন. লারমা।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা পার্বত্য শান্তি চুক্তি করতে পেরেছি, চুক্তির বাস্তবায়নও অবশ্যই করতে পারব। এ জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে চুক্তি আদায় করে নিতে হবে। জাতির অস্তিত্ব, ভূমির অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার ও জাতির মুক্তির সংগ্রামে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।”