পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে অসংগতি: শান্তির বদলে বাড়ছে অশান্তি
আহমদ বিলাল খান, রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি-৯৭ এ অসংগতি ও একপেশে সিদ্ধান্তের কারণে শান্তির বদলে অশান্তি বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। তাদের অভিযোগ, তাড়াহুড়ো করে ভারতীয় মদদে করা চুক্তিটি সকল সম্প্রদায়ের মতামত ছাড়াই সম্পন্ন হওয়ায় এটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান এনে দিতে পারেনি।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে রাঙামাটি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ডায়ালগ ফর পিস অব চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস (ডিপিসি) আয়োজিত “পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি-৯৭ আদ্যোপান্ত” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জোরজবরদস্তি নয় সংলাপই পাহাড়ের সংকট সমাধানের পথ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিশ্লেষক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এস এম আইয়ুব বলেন, চুক্তিতে বৈষম্য তৈরি হওয়ায় সকল জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে আস্থাহীনতা বেড়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব আলোচনার মধ্য দিয়ে, হানাহানিতে নয়। প্রধান বক্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. আবু ইউসুফ (অব.) বলেন, ভারতের স্বার্থ রক্ষায় তড়িঘড়ি করে চুক্তি করায় তা বৈধতা ও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাঙালিরাও অস্ত্রধারী হয়ে উঠতে পারে।
বক্তারা আরও বলেন, ভূমি সমস্যা সমাধান, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও আন্তসম্প্রদায়িক সংলাপ ছাড়া স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়। সময়োপযোগী সংশোধন ছাড়া চুক্তির অসংগতি দূর হবে না। যার বৈধ অধিকার আছে পাহাড়ি বা বাঙালি চুক্তির সুফল তারই প্রাপ্য হওয়া উচিত।
সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন রাঙামাটি দায়রা জজ আদালতের জিপি অ্যাড. মামুনুর রশিদ মামুন, পিপি অ্যাড. প্রতিম রায় পাম্পু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মিহির কুমার চাকমা, সাবেক সভাপতি অ্যাড. মোখতার আহমেদ, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হকসহ নানা পেশার প্রতিনিধিরা।
বক্তারা শেষ পর্যন্ত জোর দিয়ে বলেন, সকল জাতিগোষ্ঠীকে সমান মর্যাদায় রেখে অংশগ্রহণমূলক সংলাপই পারে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে।











