প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পিসিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মো শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির আহ্বায়ক জিয়াবুল হক।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. রাসেল মাহমুদ, পিসিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমিন।
আরো বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি বান্দারবান জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, পিসিসিপি লামা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিসিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ বলেন, ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকার গঠন করা হয়েছে। ফলে এ সরকারের কাছে পাহাড়ি-বাঙালিসহ দেশের সব মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। কিন্তু কয়েকজন উপদেষ্টার বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে সে প্রত্যাশা ব্যহত হচ্ছে। যার কারণে পাহাড়ি-বাঙালিদের কাছে দিন দিন তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলছে।
তিনি আরো বলেন, গত ২৩ জুন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেখানে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট’ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এছাড়া নতুন অধ্যাদেশে ৬ সদস্যের পরিচালনা কমিটিতে সবাইকে কেবলমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি থেকে মনোনয়নের বিধান রাখা হয়েছে। যা অত্যন্ত বৈষম্যমূলক।
প্রধান বক্তা হিসেবে পিসিসিপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করে আসছে উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠি। এরা পাহাড়ের উন্নয়ন পর্যটন মূখি না করে জনশূন্য করে রাখতে চাচ্ছে। তারা শিল্প কারখানা হতে দিচ্ছে না, এতে করে পাহাড়ের হাজার হাজার শিক্ষিত যুবক বেকার হয়ে রয়েছে। গুচ্ছগ্রামে চল্লিশ হাজারের অধিক বাঙালিদের ৩ বছর থাকার কথা বলে আজ ৩৫ বছর ধরে তাদের অবহেলায় ও বঞ্চনার মধ্যে রাখা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তর বলেন, পার্বত্য উপদেষ্টা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আদিবাসী স্বীকৃতির গোপন পথ তৈরি করছে। অন্যদিকে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালি জনগোষ্ঠীকে সাংস্কৃতিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বঞ্চনার মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী-র ভূমিকা নিয়েও পিসিসিপি নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের বক্তব্য ও নীতিগত অবস্থান সংবিধানের ৬(২) অনুচ্ছেদের বিরোধী এবং গোষ্ঠীগত পক্ষপাতমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। বক্তারা অভিযোগ করেন, মন্ত্রণালয়ের ৯০ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে যেসব দাবি রাখা হয়-
১. ‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিল করতে হবে।
২. কেবলমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ৬ জন সদস্য মনোনয়নের বিধান বাতিল করতে হবে।
৩. উপদেষ্টাদের বিতর্কিত ভূমিকায় নিরপেক্ষ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের বাজেট বণ্টনের বৈষম্যের নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক পুনর্বিন্যাস নিশ্চিত করতে হবে।