পল্লীর গন্ধে হৃদয় ভেজে

পল্লীর গন্ধে হৃদয় ভেজে
মাহফুজ রকি
পথের ধারে খেজুর গাছ, মাঠে সোনার ঢেউ,
গরুর গাড়ি টেনে চলে, সকাল বেলায় কেউ।
নদীর ধারে মাছ ধরে, কিশোর হাসে খুশি,
মাঠে ফোটে কুমড়ো ফুল, চিল উড়ে যায় নিশি।
পুকুর পাড়ে কলস ভরে, বউ এনে জল আনে,
শিশুরা খেলে ধূলা মেখে, চিলেকোঠার তলে গানে।
বৃদ্ধ দাদু পাটিতে বসে, খেজুর রসে চুমুক,
কাঁথা সেলাই করেন ঠাম্মা, গল্পে কাটে সুখ।
চাষার হাতে লাঙ্গল পড়ে, বৃষ্টির সাথে সাথা,
ধানের শীষে হাওয়া বাজে, পল্লীর মোহন গাথা।
কাক ডাকে দূর বাঁশঝাড়ে, সন্ধ্যা নামে ধীরে,
চুলোয় আগুন, হাঁড়ি বসে, ভাতের গন্ধে ঘিরে।
ছোট্ট খালে হাঁসের খেলা, পাশে কচুরীপানা,
ছায়া ফেলে তালগাছেরা, ধানের গন্ধ জানা।
নদীর কূলে জেলে বসে, জাল ফেলে বড় আশা,
পল্লীজীবন সহজ সরল, শান্তির এক ভাষা।
এই পল্লীই প্রেমের ছবি, হৃদয়ে যারে আঁকি,
মাটির গন্ধে লিখে যাই, আমি মাহফুজ রকি।
শহরের কোলাহল যতই ডাকুক,আমায় পিছে ফিরে-
পল্লীর আলো, পল্লীর ভালো, বাজে সুর অন্তরে।
নামাজ শেষে মাঠে বসে, কৃষক গায় গান,
পল্লীর প্রাণে সুর বাজে, অমলিন এ প্রাণ।
হৃদয়ে একই ছবি,শহরের মাঝে যতই থাকি,
আমার পল্লী, আমার প্রাণ, মাটির মাঝেই রকি।