ঢাকা | নভেম্বর ২৪, ২০২৪ - ৬:০৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

নেপালকে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ

  • আপডেট: Monday, June 17, 2024 - 5:32 am

জাগোজনতা স্পোর্টস : নেপালকে ২১ রানে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইটে উঠে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। লো স্কোরিং ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন পেস বোলার তানজিদ হাসান সাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান।

সোমবার আগে ব্যাট করে ১৯.৩ ওভারে ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টার্গেট তাড়া করতে নেমে তানজিম সাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসানের নান্দনিক বোলিংয়ে ১৯.২ ওভারে ৮৫ রানে অলআউট হয় নেপাল। ২১ রানের দাপুটে জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের কোয়াটার ফাইনালে উঠে যায় বাংলাদেশ।
সোমবার ভোরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টনের সেন্ট ভিনসেন্টের অ্যারনস ভেলের গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
ইনিংসের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস।
ষষ্ঠ ওভারে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তরুণ তারকা ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়। নবম ওভারের শেষ বলে সাকিব আল হাসানের ভুল কলে রান আউট হয়ে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
১১.৪ ওভারে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন সাবেক আরেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। মাত্র ৬১ রানে প্রথম সারির ৬ জন স্বীকৃত ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
দলীয় ৬৯ ও ৭৫ রানে ফেরেন পেস বোলার তানজিদ হাসান সাকিব ও উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জাকের আলি অনিক। দলের এই ব্যাটিং বিপর্যয়ে হতাশ হন ভক্ত-সমর্থকরা। একের পর এক উইকেট পতনের কারণে ১৯.৩ ওভারে ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
দলের হয়ে ২২ বলে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন সাকিব আল হাসান। ৭ বলে এক চার আর এক ছক্কায় ১৩ রান করেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ১৫ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন তাসকিন আহমেদ। ১৩ বলে ১৩ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৬ বলে ১২ রান করেন জাকের আলি অনিক।
১২০ বলে ১০৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে বিপদে পড়ে যায় নেপাল। বাংলাদেশ দলের তরুণ তারকা পেসার তানজিম হাসান সাকিবের গতির মুখে পড়ে ৬.৬ ওভারে ২৬ রানে ৫ উইকেট হারায় নেপাল। একাই ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন তানজিম সাকিব।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলে কুশাল বুর্তালকে বোল্ড করেন তানজিম সাকিব। সেই ওভারের চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অনিল শাহ। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে নেপালের অধিনায়ক রোহিত পুডালকেও আউট করেন তানজিম সাকিব।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে নেপালের শিবিরে আঘাত হানেন তারকা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তার গতির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আসিফ শেখ। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৫.৪ ওভারে ২৪ রানে ৪ উইকেট হারায় নেপাল।
এরপর নিজের শেষ এবং ইনিংসের সপ্তম ওভারের শেষ বলে সুদীপ ঝারকে আউট করেন তানজিম সাকিব। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করে ৪ উইকেট শিকার করেন।
২৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে ৫৮ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন নেপালের দুই তারকা ব্যাটসম্যান দীপেন্দ্র সিং আইরি ও কুশাল মালা। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান।
ফিজের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন কুশাল মালা। ফ্ল্যাড লাইটের অনেক ওপরে ওঠা সেই ক্যাচটি ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কুশাল মালার বিদায়ে ১৬.৪ ওভারে ৭৮ রানে ৬ উইকেট হারায় নেপাল।
জয়ের জন্য শেষ ১৮ বলে নেপালের প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। ১৮তম ওভারে ৭ রানে এক উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩ উইকেট। আর নেপালের প্রয়োজন ছিল ১২ বলে ২২ রান।
১৯তম ওভারে কোনো রান খরচ না করেই নেপালের সেট ব্যাটসম্যান দীপেন্দ্র সিং আইয়ারের উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ২ উইকেট আর নেপালের প্রয়োজন ছিল ২২ রান। শেষ ওভারে সাকিবের করা প্রথম দুই বলেই ২ উইকেট হারিয়ে ১৯.২ ওভারে ৮৫ রানে অলআউট হয় নেপাল।
বাংলাদেশ দলের অবিশ্বাস্য জয়ে ৪ ওভারে দুই মেডেনসহ ৭ রানে ৪ উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। ৪ ওভারে এক মেডেন দিয়ে ৭ রানে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২.২ ওভারে মাত্র ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। ৪ ওভারে ২৯ রানে ১ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।