ঢাকা | ডিসেম্বর ৩, ২০২৪ - ১১:২৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম

নারীরাও পারে দেশের সব সেক্টরে নারীরা অবদান রেখে চলছে: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট: Saturday, March 9, 2024 - 3:02 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সব সেক্টরে নারীরা তাদের অবদান রেখে চলছে। কিন্তু নারীদের এসব জায়গায় আসার সুযোগ করে দিতে বেশ প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছি এসপিতে নিয়োগ দিতে। আর যাকে প্রথম এসপি করেছিলাম সে ডাকাত ধরে চমক দেখিয়েছে।

গেলো শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নারীদের এ সাফল্যের গল্প শোনান। বলেন, মেয়েদের সুযোগ দিলে পারবে না, এটা আমি মানতে রাজি না। মেয়েদের অর্থনৈতিক মুক্তি সবচেয়ে বড়। অর্থাৎ, নারীর অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দিলে তারা সব পারবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করে তখন দেখি উচ্চ আদালতে কোন নারী বিচারপতি নেই। প্রথম বিচারপতি যাকে করেছিলাম তিনি কিন্তু ওই আইন জাতির পিতা করার পর বিচারবিভাগে চাকরি পেয়েছিলেন। তাকে জেলা জজ থেকে উচ্চ আদালতে জজ করে নিয়ে আসি।

আমার খুব ইচ্ছা ছিল একজনকে প্রধান বিচারপতি করে দিব। কিন্তু সেটা হয়নি এখনও। আশাবাদী আমি, একদিন হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমি যখন সরকারে আসি দেখলাম, সচিব হিসেবে কোন নারী নেই। পুলিশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নেই। বিভিন্ন জায়গায় নারীদের অবহেলা। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম ওরাও তো আসতে পারে। ওদেরও তো যোগ্যতা আছে। তখন আমি ৯৬ সালে নারীদের তালিকা চাই যে, আমি দেখবো জ্যেষ্ঠতা অনুসারে কাদের অবস্থান কোথায়।

‘৯৬ সালের প্রথম দিকে পাইনি। কিন্তু আমাদের একটা ব্যবস্থা আছে রাষ্ট্রপতি কোটায় নিয়োগ দেয়া যায়। বিশেষ ব্যবস্থায় আমি সেই নিয়োগ দেই। দেশের বিভিন্ন জায়গায় নারীদের অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিলাম। আবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যিনি ছিলেন তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দিলাম, অন্যদেরও নিয়ে আসলাম।’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আর সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়লাম এসপি (পুলিশ সুপার) নিয়োগ দিতে গিয়ে। একটাই কথা, মেয়েরা আবার এসপি হবে কি করে। আমি বলালাম পারবে না কেন? তখন মুন্সীগঞ্জে প্রথম এসপি নিয়োগ দিলাম। মুন্সীগঞ্জে চারদিকে নদী। অনবরত ডাকাতি হয়। আমি যাকে নিয়োগ দিলাম সে প্রথম যেয়েই এক ডাকাত ধরে ফেললো। এক নৌকা থেকে আরেক নৌকায় এক হাতে রিভালভার, আরেক হাতে ডাকাতকে থাবা দিয়ে ধরছে। যাক আমি খুশি, মেয়েরা পারে।