দ্বৈত ভোটার হওয়ার সুযোগ নেই : প্রধান নির্বাচন কমিশনার
ইউসুফ আলী খান।। সপ্তমবারের মতো সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন।
সোমবার (২০ জানুয়ারী) দুপুরে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত থেকে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানাস, তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ছবি তোলার কাজ চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা হবে। পুরো কর্মক্রমে নিয়োজিত থাকবে ৬৫ হাজার মাঠকর্মী। যারা ১ দশমিক ৫২ শতাংশ নাগরিক ভোটার তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করবেন।
এসময় ইসি আরও জানান, একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ একাধিকবার ভোটার হলে আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়। আর একাধিক ভোটার হওয়ার কোন প্রমান পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ২০২২ সালে নেওয়া তিন বছরের তথ্যের শেষ ধাপের হালনাগাদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এতে ১৮ লাখের মতো ভোটার আগামী মার্চে যোগ হতে পারে। সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। বাড়ি বাড়ি হালনাগাদে ১৯ লাখ নতুন ভোটার তালিকায় যোগ হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ৪০ থেকে ৪৫ লাখ ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তালিকায় দ্বৈত ভোটার যেন না থাকে, মৃত ভোটার যেন বাদ দেওয়া যায় এবং নতুনদের অন্তর্ভুক্ত করে নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্যই বাড়িবাড়ি তথ্য হালনাগাদ করছি। ২০০৭-০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এর আগে ভোটার তালিকা হালানাগাদ করা হয়েছে ছয়বার।
ভোটার তালিকা হালানাগাদে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র তথ্য সংগ্রহকারীদের দিতে হবে:
ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি, জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি, নিকট আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি (পিতা-মাতা, ভাই-বোন), প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এসএসসি/দাখিল/সমমান, অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদের কপি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি অথবা চৌকিদারি রশিদের ফটোকপি।
ভোটার হওয়ার সময় বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হবে নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সঙ্গে হুবহু মিল আছে কিনা, জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে, স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে, কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজিসহ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ।