দীঘিনালায় সম্প্রীতি সভা; ধর্মীয়–সামাজিক উৎসবে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করার আহ্বান

মো: আল আমিন, দীঘিনালা।। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় আসন্ন দুর্গাপূজা, প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান উপলক্ষে সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাছান এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের কর্মকর্তা মো. মাইন উদ্দিন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ধর্মীয় উৎসব কেবল আনন্দের নয়, এটি ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করার মাধ্যম। সব সম্প্রদায়ের মানুষ সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মাধ্যমে উৎসব উদযাপন করলে সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সম্মিলিতভাবে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তরুণ কান্তি চাকমা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তনয় তালুকদার, বিএনপি দীঘিনালা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া, দীঘিনালা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. সোহেল রানা, জামায়াতে ইসলামী দীঘিনালা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আক্কাস আলী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দীঘিনালা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন।
এছাড়া বক্তব্য দেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ, দীঘিনালা শাখার সাধারণ সম্পাদক নন্দশ্রী ভান্তে, সনাতন সমাজ কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিঠু চৌধুরী, কার্বারী প্রতিনিধি হেমাব্রত চাকমা, হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সত্রেন্দ্রীয় চাকমা, জেসমিন চাকমা; কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি নলেজ চাকমা, দীঘিনালা জোন প্রতিনিধি জনি মোল্লা, দীঘিনালা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুহাম্মদ জামালুল হাসান, এবং নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি আল আমিন হাওলাদার প্রমুখ।
বক্তারা আসন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে পালনে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।