ঢাকা | জানুয়ারী ৩১, ২০২৫ - ৫:২৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

দক্ষতা থাকলেও দক্ষিণ কোরিয়া যেতে পারছ না ৩ হাজার বাংলাদেশি

  • আপডেট: Friday, January 24, 2025 - 6:34 am

জাগো জনতা অনলাইন।। সব প্রস্তুতির পরও দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে পারছেন না প্রায় ৩ হাজার বাংলাদেশি। তাদের অভিযোগ, নির্মাণ ও মৎস্য খাতে দক্ষতা থাকার পরও অন্য দেশ থেকে কর্মী নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশের পক্ষে সঠিক প্রচারণা না থাকায় বিষয়টি নজরে আসছে না নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের। আর এর সুযোগ নিচ্ছে দালাল চক্র।

 

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভালো বেতনে কাজের আশায় সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেন মুসা জামির। প্রস্তুতি নেন কোরিয়ান ভাষা শেখার, সফলভাবে উত্তীর্ণ হন দক্ষতা পরীক্ষায়। কয়েক লাখ টাকা খরচ করে বছরখানেক ধরে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার দিন গুনছেন তিনি।

মুসা জামির বলেন, আমি খুব খারাপ অবস্থায় আছি। বর্তমানে ১২ হাজার টাকা স্যালারির চাকরি করছে। এ বেতনে চলা যায় না। ধার-দেনা শোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

কুমিল্লার অনার্স পড়ুয়া তুহিন আলদিন দেশটিতে মৎস্য খাতে কাজের জন্য নিজেকে তৈরি করেছেন দেড় বছরে। কিন্তু কবে যাবেন দক্ষিণ কোরিয়ায়, সে অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছে না।

 

তুহিন আলদিন বলেন, চাঁপাইনবাবঞ্জের এক ভাই আত্মহত্যা করেছেন। এই সেক্টরে যারা আছে তারা এই পথ বেছে নিতে পারেন। অথবা ভবিষ্যতে কি হয় তা বলা যাচ্ছে না।

জুবায়েদ হোসেনের গল্পটাও একই রকম। নিয়োগকর্তা না পাওয়ায় আশায় গুড়েবালি। তিনি বলেন, প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা যদি এ বিষয়ে সহায়ক না হন তাহলে আমাদের আশার আলো এখানেই শেষ।

প্রতি বছর এমপ্লয়মেন্ট পার্মিট সিস্টেমে একাধিক খাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী পাঠায় সরকারি রিক্রুটিং প্রতিষ্ঠান বোয়েসেল। এর আওতায় নতুন চালু হওয়া নির্মাণ ও মৎস্য খাতে বাংলাদেশের ৩ হাজার কর্মী যে প্রস্তুত, তা জানে না দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়োগকর্তারা। এজন্য সরকারের অবহেলাকে দুষছেন তারা।

প্রশ্ন হলো, সব যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করা সত্ত্বেও কেনো এই জটিলতা দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) সহ-ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম কিরণ বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া এই সেক্টরগুলো জানে না। আমরা তাৎক্ষনিকভাবে যোগাযোগ করেছি। দক্ষিণ কোরিয়ার যখন যে সেক্টরে লোক নিবে প্রত্যেক কোম্পানি জানবে। ওই দেশের সিস্টেমটাই এমন। এই সিস্টেমে কোরিয়ার সরকার বা বোয়েসেল সরাসরি কাউকে নির্দেশনা দিতে পারে না।

এই অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনির বলছেন, অপেক্ষমাণ এই কর্মীদের পাঠাতে মন্ত্রণালয়ের তৎপরতা জরুরি। মন্ত্রণালয় যদি উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে বর্তমানে যারা অপেক্ষমাণ আছে তাদেরকে গুরুত্ব দেয়া। তারা এখন কিভাবে যোগদান করতে পারে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে আলোচনা করতে পারে।

গত বছর কাজের খোঁজে দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছেন ২ হাজার ৭৭৯ জন বাংলাদেশি।