তীব্র গরমে স্কুল কলেজে সাত দিনের ছুটি ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশজুড়ে চলা তাপপ্রবাহের কারণে দেশের সব স্কুল-কলেজ সাতদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন বলেন, “রোববার থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।“
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রাথমিক ছাড়াও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল এবং কলেজের জন্যও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের মাধ্যমিক উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক জাফর আলী বলেন, “গরমের কারণে আমরা স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখবো ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে।”
এ বছর বৈশাখের শুরু থেকেই মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই বেসরকারি স্কুলগুলোতে ক্লাস চলছে। ঈদের ছুটি কাটিয়ে রোববার সরকারি বিদ্যালয়গুলো খুলে যাওয়ার কথা ছিল। এর আগেরদিন ছুটির এই খবর আসল।
মাউশির এই সিদ্ধান্ত আসার কিছুক্ষণ আগেই শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ছুটির সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছিলেন তিন থেকে সাতদিনের ছুটি হতে পারে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। শনিবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধের নির্দেশও দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গরম বিবেচনায় সাতদিনের জন্য স্কুল বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামের একটি সংগঠন।
গরম অসহনীয় হয়ে ওঠায় গত বছরের জুনেও কয়েকদিনের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ করেছিল সরকার।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, চলমান পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে, সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা উচিত।
অনেক স্কুলে ভেন্টিলেশন সিস্টেম ভালো না, ফ্যান পর্যন্ত চলে না। আর স্কুলে যাওয়া-আসার পথেও তো অনেক বেশি গরমে পড়তে হবে। ফলে বাচ্চাদের জন্য স্কুলে যাওয়াটাই অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
আমাদের শিশুদের স্বাস্থ্যটাই সবার আগে প্রাধান্য পাওয়া উচিত। এ সময় তারা যদি স্কুলে যায়, তাহলে তারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে। স্কুলের গ্রীষ্মকালিন ছুটিটা যদি এই গরমের মধ্যে দেওয়া হয়, তাহলে সেটি বাচ্চাদের জন্য অনেক ভালো হবে।