ঢাকা | নভেম্বর ১৫, ২০২৫ - ১২:১৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম

তহবিলের অভাব ও ইসরায়েলি বাধায় হুমকিতে গাজায় শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি

  • আপডেট: Saturday, November 15, 2025 - 11:02 am

জাগো জনতা অনলাইন।। তহবিলের অভাবে হুমকির মুখে পড়েছে গাজায় শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি। ইউনিসেফের অভিযোগ, শিশুদের টিকা দেওয়ার সিরিঞ্জ এবং ফর্মুলা দুধের বোতলসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী গাজায় পৌঁছাতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। এতে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে সহায়তা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে ফিলিস্তিনি শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ঝুঁকিতে রয়েছে সেখানকার শিশুরা। ইউনিসেফের উদ্যোগে টিকাদানের একটি কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ৪৪ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু, ইউনিসেফ জানায়, টিকাদানের জন্য বরাদ্দকৃত ১৬ লাখ সিরিঞ্জ ও টিকা সংরক্ষিত করার ফ্রিজ গাজায় নিয়ে যেতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে তারা।

ইউনিসেফের মুখপাত্র রিকার্ডো পিরেস বলেন, ‘আমরা যতটুকু সহয়তা দিতে পারছি তা আরও বাড়াতে হবে। টিকা ও পানি বিশুদ্ধকরণ সরঞ্জামের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী গাজায় নিতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। এই জিনিসগুলো দীর্ঘদিন ধরে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে রয়েছে।’

৩ দফায় চলবে এই টিকাদান কর্মসূচি। প্রথম দিনেই ২ হাজার ৪০০ শিশুকে টিকা দিতে সক্ষম হয়েছে ইউনিসেফ। চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছালেও তা ২০ লাখ বাস্তুচ্যুত ও অপুষ্টিতে ভোগা বাসিন্দাদের জন্য যথেষ্ট নয়।

গাজায় টিকা বঞ্চিত শিশুর দাদি ঘাদা বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে আমার নাতি সময়মতো টিকা নিতে পারেনি। যুদ্ধ ও পরিবেশ দূষণের কারণে গাজায় এমন অনেক রোগ ছড়িয়েছে যা সম্পর্কে আমরা আগে জানতাম না। এই টিকাগুলো শিশুদের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থার সহায়তায় ইউনিসেফ হাজারো শিশুকে টিকা দিতে পারবে বলে আশা করছে। টিকা বঞ্চিত এই শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।

ইউনিসেফের মুখপাত্র রিকার্ডো পিরেস বলেন, ‘আগস্ট থেকে ৯ লাখ ৩৮ হাজার ব্যবহারযোগ্য শিশু খাদ্য সীমান্তে আটকে রয়েছে। এই খাবারের বোতলগুলো অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের কাছে পৌঁছানো যেত। গাজায় জরুরি চিকিৎসার পাশাপাশি ক্ষুধা থেকে মুক্তি পেতে আরো খাবার প্রয়োজন।’

গাজায় ২ বছর ধরে যুদ্ধ চলার কারণে হাম, পোলিও এবং নিউমোনিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ টিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে স্থানীয় শিশুরা।