ঢাবি শিক্ষার্থীর IEEE EDS মাস্টার্স ফেলোশিপ লাভ
জাগো জনতা অনলাইন।। শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আফসানা আনজুম আঁখি মর্যাদাপূর্ণ ÔIEEE Electron Devices Society (EDS) Masters Fellowship 2025’ অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে প্রথম নারী শিক্ষার্থী হিসেবে এই বৈশ্বিক সম্মান অর্জনের মাধ্যমে তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। Electron Device ক্ষেত্রের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা ও গবেষণাকে উৎসাহিত ও স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে প্রতি বছর IEEE EDS Masters Fellowship প্রদান করা হয়।
অসাধারণ গবেষণা দক্ষতা, গবেষণা প্রকল্পে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং প্রকৌশল শিক্ষায় উৎকর্ষ সাধনে অনন্য সাফল্যের জন্য বিশ্বের মেধাবী শিক্ষার্থীরা IEEE EDS Fellowship লাভ করে থাকেন। এ বছর বিশ্বব্যাপী মাত্র দুইজন মাস্টার্স শিক্ষার্থী এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আফসানা আনজুম আঁখি অন্যতম। অন্যজন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের University of Texas at Austin এর বিবেক তালাভাঝুলা।
আফসানা আনজুম আঁখি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাইনুল হোসেনের তত্ত্বাবধানে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তাঁর গবেষণার অন্যতম বিষয় ছিলো ন্যানোস্কেলে ultra-low-power এবং steep-switching III-V device এর বৈদ্যুতিক আচরণকে TCAD সিমুলেশনের মাধ্যমে অনুধাবন করা। পাশাপাশি আফসানা নতুন দ্বিমাত্রিক ( (2D) heterostrucrure FET FET
সেন্সরের জন্য numerical model উন্নয়নে কাজ করছেন।
এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদ আফসানাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান জানান, এই অসাধারণ সাফল্য বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর গবেষণা অঙ্গনে দেশের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ও সম্ভাবনাকে তুলে ধরে। তার এই অর্জন বিভাগ ও অনুষদকে গর্বিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী শিক্ষার্থী ও তরুণ গবেষকগণ STEM ক্ষেত্রে উন্নত বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উদ্ভাবনে অনুপ্রাণিত হবেন। যা ভবিষ্যতের সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তির রূপ নির্মাণে সহায়ক হবে।











