ঢাকা | আগস্ট ২৩, ২০২৫ - ২:১৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম

ডা. নিতাই হত্যা: পাঁচ জনের প্রাণদণ্ড, চার জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

  • আপডেট: Sunday, August 17, 2025 - 8:22 am

নিজস্ব প্রতিবেদক।। তের বছর আগে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র দত্ত নিতাইকে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

এছাড়া চারজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার দশম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম রোববার এ রায় দেন।

এ মামলার দশ আসামির মধ্যে কামরুল হাসান অরুণ, মাসুম মিন্টু, সাইদ ব্যাপারী, বকুল মিয়া এবং সাইদ মিজিকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

আবুল কালাম, সাইদুল, ফয়সাল এবং পেদা মাসুমের আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছে। আর রফিকুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত।

সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রসিকিউটর মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘রায় ঘোষণার সময় ১০ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়।”

ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নারায়ণ চন্দ্র দত্ত নিতাই ছিলেন সে সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থক স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের একজন নেতা। ২০১২ সালের ২৩ অগাস্ট রাতে মহাখালীতে হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় নিজের বাসায় খুন হন তিনি।

হত্যাকাণ্ডের রাতে দোতলা ওই বাড়িতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিষদের সদস্য ডা. নিতাইয়ের সঙ্গে ছিলেন শুধু তার বৃদ্ধা মা। স্ত্রী লাকী চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামে।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিতাইয়ের বাবা বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন। ছয় মাসের তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গাজী আতাউর রহমান ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

সেখানে বলা হয়, চুরির সময় দেখে ফেলায় ওই চিকিৎসককে হত্যা করা হয়। আসামিরা তার বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা আর দুটি স্বর্ণের বালা নিয়ে যায়।

পুলিশের তরফে বলা হয়, নিতাই হত্যার আসামিরা ‘পেশাদার চোর’। গ্রেপ্তার আরেকজন অরুণ ছিলেন নিহত চিকিৎসক নিতাইয়ের গাড়িচালক।

এ মামলার আসামিদের মধ্যে পাঁচজনকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডেরও কোনও সুরাহা এখনও করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

২০১৩ সালের ২২ জুলাই অভিযোগ গঠনের পর ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি নিতাইয়ের বাবা তড়িৎ কান্তির সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু করে ঢাকার ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালত।

পরে কয়েক দফা বিচারক বদলে রোববার রেজাউল করিম দশ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলেন।