টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতায় নাকাল বরিশাল নগরবাসী
এম কে কামরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: টানা তিন দিন ধরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পাশাপাশি মাঝারি ও ভারি বর্ষণও হচ্ছে মাঝেমধ্যে। আর এতেই আরেক দফা জলাবদ্ধতায় নাকাল বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।
নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবহমান খালগুলো প্রায় ভরাট এবং যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ড্রেন দিয়ে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগরবাসী।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মাসুদুর রহমানের দেওয়া তথ্যমতে, গত শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে গতকাল রবিবার ৩টা পর্যন্ত ২৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বরিশাল নগরীতে। এ সময়ের মধ্যে কয়েকবার ভারি বর্ষণও হয়।সূর্যের কিরণও গত তিনদিন যাবত দেখা যায়নি।
সচেতন নগরবাসীর মতে, যেহেতু একটানা ভারি বর্ষণ হয়ছে, তাই নগরীতে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি।এতে করে বাড়বে মশার উপদ্রব ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ জনগন।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর একটি বটতলা চৌরাস্তা থেকে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে চৌরাস্তা পর্যন্ত টুওয়ে সড়ক। আজ সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কটির দক্ষিণ পাশ পুরোটাই পানির নিচে। ওই এলাকার বাসিন্দা সংবাদকর্মী সবুজ জানান, তিনদিন ধরে সড়কটির এমন অবস্থা। সড়ক সংলগ্ন ১৫ নং ও ২১ নং ওয়ার্ডের প্রায় সব অলিগলি ও বাসাবাড়িতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
নগরীর গোরস্থান রোড, মানু মিয়া লেন, গফুর মিয়া লেন, দেব কুমার লেনের প্রতিটি বাসার নিচতলায় ভারি বর্ষনের ফলে পানি উঠে গেছে।
২১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাফিজ মিয়া বলেন, ‘আমি জলাবদ্ধতার শিকার। আমার বসতবাড়ির চারদিকে পানি।’ তিনি বলেন, এই এলাকার পানি নেমে যাওয়ার একমাত্র উৎস চৌমাথা খালটি ভরাট হয়ে গেছে। ড্রেন নির্মিত হয়েছে অপরিকল্পিভাবে। তা ছাড়া বরিশাল সিটির কাউন্সিলরদের কার্যকর কোনো ভূমিকা নেই। একারণে এলাকাবাসী সবাই অসহায়।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন পরিচ্ছন্নতা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, নগরীর সব বড় ড্রেনের সংযোগ খালগুলোর সঙ্গে। ড্রেনের মুখ ময়লায় আটকে যাওয়ায় নগরীর কিছু এলাকায় বৃষ্টির পানি নামছে না। পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেনের সংযোগ মুখ ও খালগুলো পরিস্কার করার কার্যক্রম চলছে।